টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট প্রবল ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে উপকূলে ফিরতে পারেনি কক্সবাজারের ১৭টি ফিশিং ট্রলার। এসব ট্রলারে ৬ শতাধিক মাঝি-মাল্লা রয়েছে। যাদের সঙ্গে গেল ৪৮ ঘণ্টা ধরে যোগাযোগ করতে পারেননি ট্রলার মালিকগণ।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
নিখোঁজ ট্রলারগুলো হলো- এফবি হাসান, এফবি আবছার, এফবি সাবিত, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি কায়সার, এফবি আব্দুল মালেক এক দুই, এফবি আঁখি, এফবি তাহসিন, এফবি বাবুল, এফবি নাছির, এফবি সেলিম, এফবি নজির ও এফবি জনিসহ আরও কয়েকটি।
ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বুধবার থেকে টানা বর্ষণ হচ্ছে কক্সবাজার উপকূলে। গেল ৫৮ ঘণ্টা হচ্ছে ঝড়ো হাওয়া আকারে বৃষ্টিপাত হওয়ায় উপকূলে ফিরছিলেন জেলেরা। পথিমধ্যে অনেক ট্রলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেসে গেছে। তারমধ্যে ৮টি ট্রলার কলাতলী ও উখিয়ার ইনানীর পাটোয়ারটেক পয়েন্টে ভেসে এসেছে। সেখান থেকে তিন শতাধিক জেলে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুইদিন ধরে কোন ধরণের যোগাযোগ নেই ফিশিং ট্রলারগুলোর সাথে। এসব ট্রলারে থাকা ৪ শতাধিক জেলের ফোন বা কোনভাবে তাদের সঙ্গে সংযোগ নেই। সে হিসেবে তারাও এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
গেল কয়েকদিনের টানা বর্ষণের ফলে কক্সবাজারে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় দুই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া ট্রলার ডুবে মৃত্যু হয়েছে দুই জেলের। এছাড়া টেকনাফের বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে এক শিশু।
সেইফ লাইফ গার্ড কর্মীদের ইনচার্জ ওসমান গনি বলেন, বৈরী আবহাওয়া কারণে সৈকতে গোসলে নামতে মানা করার পাশাপাশি আমাদের টিমের সদস্যরা উপকূলের ট্রলারের দিকে নজর রাখছে।
এদিকে, গতকাল (শুক্রবার) কক্সবাজার জেলায় একদিনেই মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
প্রশাসক মো. মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, গত দুইদিনের অবস্থার চেয়ে আজ (শনিবার) শহর এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। আগত পর্যটকদের ব্যাপারে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো পর্যটক আটকা পড়েনি।’
এদিকে, উপজেলাগুলোতে পানিবন্দী রয়েছে আড়াই লাখের বেশি মানুষ। আজও (শনিবার) থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে কক্সবাজারে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।