পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ না করায় কক্সবাজার বিমানবন্দরের ‘আন্তর্জাতিক’ মর্যাদা স্থগিত করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত বৃহস্পতিবার মৌখিকভাবে এই সিদ্ধান্ত জানান। বিমান মন্ত্রণালয় রবিবার আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এখনও টার্মিনাল, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ইমিগ্রেশন সেবা এবং লাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেমের মতো আন্তর্জাতিক মানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি। এছাড়া কাস্টমস কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কাঠামোও পুরোপুরি তৈরি হয়নি।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা এখনই সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়া দ্রুত ‘আন্তর্জাতিক’ মর্যাদা দেওয়া সিদ্ধান্তটি অপরিণামদর্শী এবং তা সংশোধনের প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরে কাস্টমস কার্যক্রমের পূর্ণাঙ্গ কাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি। কোনো বেসরকারি ওয়্যারহাউস বা কার্গো হ্যান্ডলিং সুবিধা চালু হয়নি, এমনকি সীমিত আকারের সরকারি ওয়্যারহাউসের প্রস্তুতিও শেষ হয়নি। ফলে এই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যত আইনগত ও প্রশাসনিক- উভয় দিক থেকেই অসম্পূর্ণ থেকে গেছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে কর্মরত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, এখানে ইন্টারন্যাশনাল টার্মিনাল হয়নি, কনভেয়ার বেল বসানো হয়নি, লাইটিংয়ের কাজ হয়নি, ফায়ার অ্যালার্ম, ফায়ার প্রটেকশন এবং ফায়ার পাম্পের কোনো কাজ এখনও হয়নি। টার্মিনালে ঢোকার গেটের কাজ এখনও চলমান, টার্মিনালের ফার্নিচার এবং এফডিআই অনেক কাজ বাকি, রানওয়ের কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। লাগেজ স্ক্যানিংয়ের কোনো মেশিন এখনও আসেনি। মেটাল ডিটেক্টর এবং সাইনবোর্ডও স্থাপন করা হয়নি। এসব কাজ সম্পন্ন করতে এখনও ছয় মাস থেকে এক বছর লাগবে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. নুর-ই-আলম বলেন, আমরা করণীয় নির্ধারণে সরকারকে চিঠি দিয়েছি। চিঠির জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।