কক্সবাজার সৈকতে বিশাল আকৃতির দানব

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল আকৃতির এক প্লাস্টিকের তৈরি দানব। সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ দানব তৈরি করা হয়েছে।

সৈকতেই আগত পর্যটকরা এ প্লাস্টিকের তৈরি দানব টি দেখছন। ‘এই দানব জন্মাবে না আর প্লাস্টিক রিসাইকেল করতে হবে সবার’ এই স্লোগানে সৈকতের বালিয়াড়িতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ প্লাস্টিক দানব তৈরি করছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

শুক্রবার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের নবাগত জেলা প্রশাস মুহাম্মদ শাহীন ইমরান। উদ্বোধনের পর দানবটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দিয়ে এক প্রকাণ্ড দানব তৈরি করা হয়েছে। যেখানে আছে প্লাস্টিকের পানির বোতল, বালতি, চিপসের প্যাকেট, চেয়ার, বলসহ নানা প্রকার প্লাস্টিকের বর্জ্য। ১৬ জন স্বেচ্ছাসেবক গত ৭ দিন ধরে এ দানব তৈরি করেছেন জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্লাস্টিকের দানব তৈরির মূল পরিকল্পনাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী আবির কর্মকার বলেন, প্লাস্টিক দানবটি তৈরি করতে এরই মধ্যে ২০ বস্তা পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে, যা কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকত থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ৭ দিন ধরে দিনরাত কাজ করে এ দানব তৈরি করছি। এর উচ্চতা ৩৮ ফুট ও প্রস্থ ১৪ ফুট। আমি, শুভ্র বাড়ৈ, নির্জর, সাব্বির, বিদ্যানন্দের ৮ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ৪ জন কাঠমিস্ত্রি নিয়ে এই প্লাস্টিক দানবটি তৈরি করছি।

মূলত মানুষের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এ দানব তৈরি করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।