কমিটি ঘোষণা : মধ্যরাত থেকে উত্তপ্ত চবি, অনির্দিষ্টকালের অবরোধ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর মধ্যরাত থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

রোববার (৩১ জুলাই) দিবাগত রাত দুইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শতাধিক নেতাকর্মী। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিতদের পাশাপাশি যারা পদ পেয়েছেন তারাও বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছেন।

শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয় ও সিএফসির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাস অবরোধের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এর আগে কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর রাত একটার দিকে সোহরাওয়ার্দী হল, শাহ আমানত হল ও এ এফ রহমান হলের বেশ কয়েকটি ভাঙচুর করেন পদবঞ্চিতরা। এ সময় কমিটিতে ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদকের পদপ্রাপ্ত সিরাজুল কবির সাহিলকে সামনে পেলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন পদবঞ্চিতরা। এর পরেই তারা আলাওল হল, এ এফ রহমান হল ও সোহরাওয়ার্দী হল থেকে শতাধিক নেতাকর্মী জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।কমিটি ঘোষণা : মধ্যরাত থেকে উত্তপ্ত চবি, অনির্দিষ্টকালের অবরোধ 1

আন্দোলনকারীরা এ কমিটিকে অবৈধ উল্লেখ করে কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ঘোষণা দিয়ে সহ সভাপতির পদপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আবু বকর বলেন, যারা একদম জুনিয়র, ক্যাম্পাসের রাজনীতি সম্পর্কে যাদের নূন্যতম ধারণা নেই তাদেরকেও কমিটিতে পদ দেয়া হয়েছে।

অথচ যারা ত্যাগী, দীর্ঘদিন ধরে যারা ক্যাম্পাসে রাজনীতি করে আসছে তাদেরকে কোনো পদ দেয়া হয়নি। তাই আমরা এই কমিটি ভেঙে দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন করে ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছি। দাবি আদায় না হলে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অবরোধের ঘোষণা দিয়েছি।

কমিটি ঘোষণা : মধ্যরাত থেকে উত্তপ্ত চবি, অনির্দিষ্টকালের অবরোধ 2

এর আগে রাত সাড়ে বারোটার দিকে দুই বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া চবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিসিয়াল প্যাডে ছাত্রলীগের ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩৭৬ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।