করোনায় বিশ্বজুড়ে কমেছে মৃত্যু আর শনাক্ত

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি নেমেছে প্রায় দেড় হাজারে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় সাড়ে ৫ লাখে।

রোববার (১৭ এপ্রিল) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯২৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ কোটি ৪৩ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬২ লাখ ২১ হাজার ৯১০ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৫৮৩ জন এবং মারা গেছেন ৬১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৪ হাজার ১২২ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৮৮২ জন এবং মারা গেছেন ২৭৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬২ লাখ ১২ হাজার ৭৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২০ হাজার ৮৮৯ জন মারা গেছেন।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৪৮ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩০ লাখ ৪১ হাজার ৯৯৫ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২১ হাজার ৭৮১ জন।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ১২ হাজার ৮৯০ জন এবং মৃত্যু ৮০ জন। রাশিয়ায় মারা গেছেন ২৪০ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৯৫ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত ৪৬ হাজার ৭৩ জন এবং মৃত্যু ১০৯ জন। জাপানে আক্রান্ত ৫০ হাজার ২৯৩ জন এবং মৃত্যু ৬১ জন। ব্রাজিলে মৃত্যু ৩৩ জন এবং আক্রান্ত ২ হাজার ৭৭৫ জন। ভারতে মৃত্যু ৫ জন এবং আক্রান্ত ১ হাজার ৪৮ জন। তুরস্কে আক্রান্ত ৪ হাজার ৮৬ জন এবং মৃত্যু ১৯ জন। ইতালিতে আক্রান্ত ৬৩ হাজার ৮১৫ জন এবং মৃত্যু ১৩৩ জন। হংকংয়ে ৪১ জন, ফিলিপাইনে ৮ জন, কানাডায় ২৩ জন, ইরানে ২৩ জন, গ্রিসে ৪৯ জন, চিলিতে ২৬ জন, মেক্সিকোতে ১২ জন এবং অস্ট্রেলিয়ায় ৩৫ জন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।