করোনা থামিয়ে দিলো একুশে পদকজয়ী সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিনকে

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন একুশে পদকজয়ী সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী রিয়াজ উদ্দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের চার বারের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ১৯৯৩ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের কোভিড আইসিইউতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

তাঁর ভাই কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন জানান, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৮ ডিসেম্বর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

জাতীয় প্রেস ক্লাব সূত্রে জানা গেছে ২৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় তাঁর মরদেহ জাতীয় প্রেস ক্লাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। দুপুর দেড়টায় সেখানে জানাজা হবে। এরপর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

১৯৪৫ সালের ৩০ নভেম্বর নরসিংদীর মনোহরদীতে জন্মগ্রহণ করেন রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।

১৯৬৮ সালে পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন খ্যাতিমান এই সাংবাদিক। তিনি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও দ্য নিউজ টুডে পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। একুশে পদক, মওলানা আকরম খাঁ পদক, অতীশ দীপঙ্কর পদক লাভ করেন তিনি।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি লেখালেখিতেও সুনাম কুড়ান। তার লেখা উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে— ‘সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন’, ‘আরব্য রজনী’ ও ‘পারস্য রজনী’।

১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ ও ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মোট চার মেয়াদে আট বছর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া সাউথ এশিয়ান ফ্রি মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের (সাফমা) সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সদস্যও ছিলেন তিনি। এর আগে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সত্তর ও আশির দশকে অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব ও সভাপতি ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।