কর্ণফুলী নদীকে দখলমুক্ত-দূষণমুক্ত রাখতে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো তিনদিন ধরে ধারাবাহিক নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। শেষদিন রোববার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর অভয়মিত্র ঘাট থেকে চরপাথরঘাটা সিডিএ মাঠ এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় সাম্পান খেলা।
একই দিন সন্ধ্যায় চরপাথরঘাটা সিডিএ মাঠে বসে চাটগাঁইয়া সাংস্কৃতিক মেলা। কর্ণফুলীকে বাঁচাতে বিগত এক যুগ ধরে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে স্থানীয়ভাবে আয়োজন করা হয় সাম্পান বাইচ। এতে স্থানীয় কয়েক ডজন সাম্পান সমিতি অংশ নেয়। বিকেল থেকে সাম্পান বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে হাজারো মানুষের ঢল নামে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান সাংবাদিক আলীউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাংস্কৃতিক কর্মী দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. ইদ্রিছ মিয়া, বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ডা. গিয়াস উদ্দিন ফারুকী ফয়সাল, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সদস্য ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারা পরিদর্শক জুবাইরুল আলম মানিক, সাম্পান খেলা পরিচালনা পরিষদের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মীর্জা মো. ইসমাঈল, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির সভাপতি এসএম পেয়ার আলীসহ সংস্কৃতিকর্মী, রাজনীতিক, সমাজকর্মী, শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার কর্ণফুলী নদীর ওপর ভাসমান নৌকা, নৌকার ওপরই তৈরি করা হয়েছে ভাসমান নান্দনিক মঞ্চ। এ মঞ্চ থেকেই কর্ণফুলী নদী দখল, ভরাট ও দূষণের প্রতিবাদের দ্যুতি ছড়িয়েছে ‘বিনি সুতার মালা’। ভাসমান এই মঞ্চেই আঞ্চলিক গান, পাহাড়ি নৃত্য, গান ও বক্তব্য দিয়ে জানানো হয়েছে তীব্র প্রতিবাদ। গানে গানে এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে প্রতিবাদের ভাষা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নদী ব্যবহারকারীদের মাঝে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।