কর্ণফুলীতে জমি দখলের চেষ্টা, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত দম্পতি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টায় বাধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন মোহাম্মদ এমরান (৩২) ও ফারজানা আকতার (২২) নামে এক দম্পতি।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর ৩নং ওয়ার্ডের হাজী আবদুল ছত্তারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ঘটনায় গত শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে কর্ণফুলী থানায় মোহাম্মদ আবুল কালাম বাদী হয়ে একই এলাকার মো. নজরুল (৪০), মো. বেলাল (৩৮), মো. লোকমান (৪৫), মো. বদিউল আলম (৪০) ও মো. সোলায়মান (৪২) কে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে একই এলাকার মোহাম্মদ আবুল কালামের খরিদকৃত জমি জোরপূর্বক দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার চেষ্টা করে নজরুলের নেত্বে অভিযুক্তরা। এতে বাধা দেওয়ায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এমরান ও তার স্ত্রী ফারজানাকে।

স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় তারা। ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার বাদী মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, ১২ শতক জমি থেকে ৪ শতক জমি আমরা ক্রয় করে বর্তমানে দখলে আছি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আসেন জমির পরিমাপ করতে। তিনি চলে যাওয়ার পর স্থানীয় নজরুল তার দল নিয়ে জমিটি দখল করে সীমান প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে গুরুত্বরভাবে আহত হয়েছেন ২ জন।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হামলাকারীরা দখলের চেষ্টা করলে আমি বিষয়টি বড়উঠান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান খাঁনকেও জানিয়েছি। তিনি আমাকে আইনী সহযোগিতা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বাহাদুর খান বলেন, জমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক সামাজিক বৈঠকও হয়েছিলো। এবার উভয়পক্ষের মারামারির ঘটনাও ঘটে।

কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম বলেন, আদালত ১৪৫ ধারা জারি করায় জমিটি তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আমরা সরেজমিনে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। তাদের মারামারি দেখে আমরা অফিসে চলে আসি।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, বড়উঠানের জমি বিরোধের ঘটনায় দু’পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। এঘটনায় থানায় দু’পক্ষই মামলা করেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জড়িতদের বিরুদ্ধে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।