চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গিয়াস উদ্দীন (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গিয়াস উদ্দীন উপজেলার ইছানগর গ্রামের শাহ আলমের পুত্র। এনিয়ে কর্ণফুলীতে গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হলো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের জানান, গত সোমবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নগরীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয় গিয়াস উদ্দিন। চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। এরমধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে মারা যায়।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত গিয়াসের একটি ৮ মাসের কন্যা শিশু রয়েছে। গত দুই বছর আগে বিয়ে করেছিলেন। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন।
এর আগে, গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। তিনি কর্ণফুলী উপজেলার শেখ আহম্মদের স্ত্রী। সপ্তাহ খানেক আগে জান্নাতুলের জ্বর হয়। কর্ণফুলী উপজেলার একটি চেম্বারে তিনি ডাক্তার দেখালে পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে।
এদিকে, কর্ণফুলীতে উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না থাকার কারনে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার অন্তত আড়াই লক্ষাধিক বাসিন্দা। অনেকের জ্বরসহ ডেঙ্গুর নানা উপসর্গ দেখা দিলেও উপজেলায় বাইরে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা বা চিকিৎসা গ্রহণ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। যার ফলে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। ডেঙ্গুর মতো করোনাকালীন সময়েও সরকারী হাসপাতাল না থাকায় উপজেলার বাসিন্দারা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল।
অন্যদিক গত ২৪ ঘন্টায় এবং গত সাত দিনে উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুরও তালিকা চাওয়া হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে তা পাওয়া যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এসএম নাওশেদ রিয়াদ বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার তালিকাগুলো প্রতিদিন সংগ্রহ করার সুযোগ নেই। আমরা প্রতিমাসে একবার করে এই তালিকা বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে থাকি।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।