চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। গত সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভুক্তভোগী তরুণী কাজের খোঁজে কক্সবাজার থেকে কর্ণফুলীতে এসেছিলেন বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মো. সোলায়মান (২৩), মো. রাজু (২৪) এবং মো. নাজমুল সাকমান (২০)। তারা তিনজনই কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) র্যাব-৭ জানায়, গত ১৮ জানুয়ারি কক্সবাজার পেকুয়া থেকে কর্ণফুলীতে বড় ভাইয়ের বাসায় আসছিলেন ভুক্তভোগী তরুণী। কক্সবাজারের গাড়ি থেকে নেমে মইজ্জ্যেরটেকে মাহিন্দ্রাচালক মো. শওকত নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের সূত্রে তরুণীকে গার্মেন্টসে চাকুরি এবং বাসা ভাড়া নিয়ে দেওয়ার জন্য মাহিন্দ্রা চালকের সহায়তা প্রার্থনা করেন। শওকত তরুণীকে গার্মেন্টসে চাকুরির আশ্বাস দিয়ে কর্ণফুলীর শিকলবাহা এলাকায় বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য বলেন।
পরবর্তীতে মাহিন্দ্রাচালক শওকত ও তার সহযোগীরা তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে রাতে শিকলবাহা এলাকায় বাসা খোঁজাখুঁজি করছিলেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বিল্লাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থানরত ৭ জন দুস্কৃতিকারী মাহিন্দ্রাচালক শওকত, তার বান্ধবী বিলকিছ আকতার ও বন্ধু ইমনকে মারধর করে জোরপূর্বক ভুক্তভোগীকে অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ সময় বিলকিছ আকতার মইজ্জ্যেরটেক এলাকায় গিয়ে পুলিশকে ঘটনার বিষয়ে জানায়। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ভুক্তভোগীকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে।
এক পর্যায়ে ১৯ জানুয়ারি রাতে কর্ণফুলীর মহিউদ্দিন চৌধুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছন থেকে মোহাম্মদ আকাশ (১৯) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয় ওই তরুণীকে। উদ্ধার করে অসুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর খালা বাদি হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় র্যাবের অভিযানে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিডিয়া মো. শরীফ উল আলম বলেন, “শুরু থেকে চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণের মামলাটি গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়া অনুসন্ধান করছিলো র্যাব। তারই অংশ হিসেবে সোমবার নগরের শাহ্ আমানত টোল প্লাজা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামলার আসামি সোলায়মানকে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মইজ্জ্যেরটেক এলাকা থেকে অপর ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তর করা হয়।”
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।