চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের দেয়াঙ পাহাড়ে পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ ও জাদুঘর স্থাপনের জন্য নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শনের পর উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৯ নস্বর ওয়ার্ডের কালা ফকির বাড়ি ও মৌলভী বাড়ি অবৈধভাবে উচ্ছেদের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।
সভায় বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত এখলাছুর রহমান খান, গাজী মোহাম্মদ ইসহাক, মোহাম্মদ ওসমান, মৌলানা নেজাম উদ্দিন খান, দিদারুল আলম, বেলাল খান, জহির উদ্দিন খান টিপু, হাফেজ মৌলানা শাহনুর, সলিমুল্লাহ খান।
এ সময় কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ্ উদ্দিন খান, ইউপি সদস্য সাজ্জাদ হোসেন খান সুমন, মহিলা ইউপি সদস্য মঞ্জু আকতার, মামুন খান, এহাসানুল হক খান, মঈনুদ্দিন, সরোয়ার হোসেন টিপু, ফারুক আহম্মদ, ছৈয়দ নুর, ইমতিয়াজ উদ্দিন, মাস্টার জাকারিয়া খান, পারভীন আকতার, শাহিন আকতার, জেসমিন আকতারসহ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ফেস্টুন-ব্যানার হাতে রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে।
তাদের দাবি, যে জমিতে তারা বংশপরম্পরায় যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে, সেই জমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তাদের পূর্বপুরুষরা এ এলাকায় কয়েক যুগ ধরে বসবাস ও জমিতে ধানচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এভাবে তারা বংশানুক্রমে এ এলাকায় সাড়ে ৫শত পরিবার বসবাস করছে। সম্প্রতি দেয়াঙ পাহাড়ে পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ ও জাদুঘর স্থাপনের জন্য জায়গা নির্ধারণে উচ্ছেদ আতঙ্কে ফেলেছে।
বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের পর স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে আসেন সংস্কৃতি বিষয় মন্ত্রণালয় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক একেএম সাইফুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরিদর্শনে এসেছি। এখানে আসার আগে প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠিও দেয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কাজ শুরু করব আমরা।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।