কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ জেলা পুলিশ সুপার কর্তৃক ‘শ্রেষ্ঠ আসামী গ্রেপ্তারকারী’ ও ‘শ্রেষ্ঠ তদন্তকারী’ অফিসারের পুরস্কার পেলেন লংগদু থানার এসআই মশিউর আলম ও শাহাবুর আলম।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পুলিশের মাসিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জঙ্গি দমন, ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন সচেতনতা, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, সাইবার ক্রাইম, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার, স্পর্শকাতর মামলা সমূহের অগ্রগতি, জেলার গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও দিক নির্দেশনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় পুলিশ সুপার ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৫ জনকে নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন। তন্মধ্যে লংগদু থানা পুলিশের দুই অফিসার পুরস্কৃত হয়েছেন। তারা হলেন- প্রতারণা মামলার এজাহারনামীয় ৮ জন আসামী গ্রেপ্তাসহ নগদ তিন লক্ষ বারো হাজার পাঁচশত টাকা উদ্ধার, ধর্ষণ মামলার ২ জন আসামীকে গ্রেপ্তারে ভূমিকা ও ১টি পরোয়ানা নিষ্পত্তির জন্য জেলার শ্রেষ্ঠ আসামী গ্রেপ্তারকারী অফিসার লংগদু থানার এসআই মো. মশিউর আলম।
অন্যদিকে ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ২ জন আসামী গ্রেপ্তার এবং ৩টি পরোয়ানা নিষ্পত্তির জন্য জেলার শ্রেষ্ঠ তদন্তকারী অফিসার লংগদু থানার এসআই শাহাবুর আলম।
পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় এসআই মশিউর আলম ও শাহাবুর আলম বলেন, পুলিশে যোগদানের পর থেকে ন্যায়, নীতি ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। বর্তমানে জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় ও লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করায় স্যারদের উপস্থিতিতে পুরস্কার গ্রহণ করতে পেরেছি বলে মনে করি। আজকের এ পুরস্কার আমার আগামী দিনের পথ চলার পাথেয় হবে।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন জানান, এসআই মশিউর ও শাহাবুর তাদের কর্তব্য-কর্মের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে সক্ষম হয়েছেন। আজকের এই পুরস্কার গ্রহণ তাদেরকে আরো দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সভায় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাঘাইছড়ি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আউয়াল চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।