কাপ্তাইয়ে বন্যহাতির আক্রমণে ৩ বছরে ৬ জনের মৃত্যু

কাপ্তাই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বাঙ্গালহালিয়ার লোকালয়ে এবং কৃষি জমিতে নিয়মিত বন্যহাতি হানা দিচ্ছে।

বন্যহাতি দিনেরাতে এলাকার লোকালয়ে এবং ফসলের জমিতে দল বেঁধে হামলা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

বন্যহাতির আক্রমণে গত ৩ বছরে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১১ জন। বিপুল পরিমাণ জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ধানসহ কলাবাগান, নারিকেল বাগান, কাঁঠাল বাগান ইত্যাদির উপর বন্যহাতি বিচরণ করায় এসব ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গেছে।

রাজস্থলী উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা বলেন, আমরা প্রশাসন ও বন বিভাগের কাছে বন্যহাতির আক্রমণের বিষয়টি বারবার তুলে ধরেছি। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বন বিভাগ বন্যহাতির হামলায় হতাতহদের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ বলেন, বন্যহাতির দল প্রায় সময় লোকালয়ে চলে আসছে বলে আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে প্রায়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বন বিভাগের কাছে লিখিতভাবে সহযোগিতা চেয়েছি।

বন্যহাতির আক্রমণ এবং লোকালয়ে বন্যহাতির প্রবেশ কিভাবে প্রতিহত করা যায় এ বিষয়ে বন বিভাগকেই পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও তিনি জানান।

এ ব্যাপারে কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের ডিএফও নুরুল ইসলাম বলেন, লোকালয়ে এবং ফসলি জমিতে বন্যহাতির প্রবেশ সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। বন্যহাতির আক্রমণের ফলে এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলেও তিনি স্বীকার করেন।

বন্যহাতি মানুষের ক্ষতি করলেও বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী হাতির ক্ষতি করা যাবেনা। তিনি বলেন, কাপ্তাইয়ে বন্যহাতির ব্যাপক বিচরণের পর বন বিভাগের পক্ষ থেকে সোলার ফেঞ্চিং বসানো হয়েছে।

এখন সেখানে বন্যহাতির প্রবেশ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বাঙ্গালহালিয়ায়ও অনুরুপ পদক্ষেপ নেওয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবেন বলেও তিনি জানান। ইতিমধ্যে বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বন বিভাগের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
Write to চট্টগ্রাম খবর

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।