রাত পোহালেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে কক্সবাজার রেল পথ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১১ নভেম্বর) কক্সবাজারে নব নির্মিত আইকনিক স্টেশনে এই রেলপথ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। শনিবার ট্রেন চলাচল উদ্বোধন হলেও দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে ১ ডিসেম্বর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) কক্সবাজার রেলস্টেশনে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে শনিবার ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে ঢাকাসহ গোটা বাংলাদেশের সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগের শুরু হবে। তবে ১ ডিসেম্বর থেকে দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। শুরুতে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। এছাড়া একটি মেইল ট্রেন দোহাজারী পর্যন্ত চলাচল করলেও পরবর্তী সময়ে সেটি কক্সবাজার পর্যন্ত আনা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপে কক্সবাজার পর্যন্ত কাজ শেষ করতে হয়েছে। এই প্রকল্প রামু থেকে ঘুমদুম পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। এটা আমাদের পাশের দেশ বার্মার (মিয়ানমার) সঙ্গে যুক্ত হবে। তবে তারা অবকাঠামোর দিকে পিছিয়ে আছে।
নূরুল ইসলাম বলেন, এই রেলপথ নির্মাণে রাজনৈতিক একটা প্রভাব পড়বে। নির্বাচনী যে অঙ্গীকার করেছিলাম সেটা আমরা পূরণ করেছি। এতে উন্নয়নের যে ধারা তার সঙ্গে মানুষ থাকবে বলে আশা করি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়েছে কক্সবাজার। পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে পুরো শহরজুড়ে তৈরি করা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী। পাশাপাশি তৎপর রয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বলেন, রেললাইন উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন আসবেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর সফর চলাচলের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং জনসভা নির্বিঘ্ন ও শৃঙ্খলার লক্ষ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর ঘিরে কক্সবাজারে সকল প্রকার বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীন ইমরান। তিনি বলেন, জেলার আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।