১৩ বছরের কিশোরীর বিয়ে হচ্ছিলো ৩৪ বছরের যুবকের সাথে,ঠেকালেন ইউএনও

কক্সবাজারে ১৩ বছর বয়সী এক ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে কৌশলে বিয়ে দেয়া হচ্ছিলো ৩৪ বছর বয়সী এক যুবকের সাথে। তবে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তেক্ষেপে বন্ধ হয়েছে এই বাল্যবিবাহ।

শনিবার (১ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া।গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওই কিশোরীর বাড়ি কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকার সূর্যের হাসি ক্লিনিক সড়কে।

জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরীর সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল চট্টগ্রামের আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের চাতরী গ্রামের ৩৪ বছর বয়সী এক যুবকের। খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে ওই কিশোরীর বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে রান্না করা হয়। বরযাত্রীরাও চলে এসেছিল। তবে প্রশাসনের লোকজন এসে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। পরে অতিথিদের খাইয়ে বিদায় করে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ইউএনও মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ওই বাড়িতে পাশাপাশি দুই ঘরে বিয়ের খবর পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি একজন সবে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছেন। বাবা গোপনে ৩৪ বছর বয়সী যুবকের সাথে তার বিয়ে দিচ্ছেন।পরে দেখতে পাই নকল জন্মনিবন্ধন দিয়ে বিয়ে দেয়া হচ্ছিলো মেয়েটিকে।

তিনি বলেন, কিশোরীকে দেখে সন্দেহ হলে তার কাছে জানতে চাইলে সে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী বলে উত্তর দেন। পরে বিভিন্ন কাগজ যাচাই করে দেখি তার প্রকৃত বয়স সাড়ে ১৩ বছর। যেহেতু ওই মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি সে কারণে এই বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ইউএনও আরও বলেন, পরে সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ স্কুলের শিক্ষককের জিম্মায় কিশোরীকে দেওয়া হয়। এ বিষয়টি নজরদারিতে রাখার জন্য তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কিশোরীর বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিবাহের আয়োজন করা হবে না মর্মে কিশোরীর অভিভাবক এবং কাজির সহকারির কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। এর মধ্যে যদি তার মেয়েকে বিয়ে দেয় তাহলে আইনের আওতায় এনে তাদেরকে শাস্তি প্রদান করা হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।