কৃত্রিম পায়ে দাঁড়িয়ে রেজাউল- নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন

সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুনের সহায়তা

১২ বছর আগে পা হারান সীতাকুন্ডের দুরন্ত ছেলে মো. রেজাউল করিম। কাজ করতেন বেসরকারি কোম্পানিতে। সুখেই কাটছিলো তার জীবন। ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় এক পা হারিয়ে কর্মহীন হয়ে অভাব-অনটনে দিন কাটাতে থাকেন তিনি।

সীতাকুন্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুনের আর্থিক সহায়তায় কৃত্রিম পা পেয়েছেন রেজাউল করিম। রেজাউল এখন হাঁটছেন অনেকটা স্বাভাবিক মানুষের মতো। স্বপ্ন দেখছেন জীবনে এগিয়ে চলার।

রেজাউল করিম সীতাকুন্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। দীর্ঘ ১২ বছর পর কৃত্রিম পা পেয়ে ভীষণ খুশি মো. রেজাউল করিম।

৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) উপজেলা চেয়ারম্যানের কক্ষে রেজাউলকে কৃত্রিম পা উপহার প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন- ইউএনও শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.নুর উদ্দিন রাশেদ, ও প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী।

সীতাকুন্ডের ছেলে মো. রেজাউল করিম বলেন, ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনার কারণে আমি পা হারায়। বিগত ১২ বছর ধরে আমি পা হারানোর বেদনায় ভুগছি। কর্মস্থলে কিছু করবো এটা অসম্ভব ছিলো। মামুন ভাই আমাকে একটি পায়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করার সুযোগ পেয়েছি। তিনি আরো বলেন,আমি ৮ জনের পরিবার চালায়। মামুন ভাইয়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। নতুন করে আবার জীবনযাপন করার সুযোগ পেয়েছি।

কৃত্রিম পায়ে দাঁড়িয়ে রেজাউল- নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন 1

সীতাকুন্ড উপজেলার চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন বলেন, এই পা দিয়ে রেজাউল স্বাভাবিক চলাচল করতে পারবে। নির্দিষ্ট পরিমান ওজন উত্তোলন করতেও সক্ষম হবে। রেজাউল যেন স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাপন করতে পারে সেজন্য সকলের নিকট দোয়া প্রত্যাশা করেন এই জনপ্রতিনিধি।

সীতাকুন্ড উপজেলার ইউএনও শাহাদাত হোসেন বলেন, একটা পরিবারের ৬-৭ জনের ভরণ-পোষণ যার হাতে এ রকম একজন পঙ্গু হয়ে যাওয়া দুঃখজনক। রেজাউল মানবেতর জীবনযাপন করছিলো। আমি খুশি হয়েছি আমাদের উপজেলার সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয় এ ছেলেটির কৃত্রিম পা বসানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। দেখে ভালো লাগছে। সে এখন স্বাভাবিক মানুষের মতো হাঁটা-চলা করতে পারছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।