কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মসলার চাহিদা বাড়ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে

দেশের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসীদের ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদে মসলার চাহিদা একটু বেশি থাকে।মাংস রান্নার জন্য কোরবানির ঈদে মসলার বেশ চাহিদা থাকে। তাই ঈদ উপলক্ষে বিশেষ প্রস্তুতি রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত এর মসলা ব্যবসায়ীদের।

দেশটির আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমাইন প্রদেশে বাংলাদেশি মসলার দোকান প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যস্ত সময় পার করছে এ সময়টা।

এখন থেকে ঈদের আগ মুহূর্ত পযন্ত খুব ব্যস্ত সময় পার করবেন জানিয়ে আরব আমিরাতের শারজাহ আল মাশুর গ্রুপ এর পরিচালক এস এম ইলিয়াছ বলেন মসলার দামের এমন অবস্থাতে প্রবাসী ক্রেতারা সন্তুষ্টি আছে। কয়েকটির উপকরণ এর মধ্যে এবার এলাচের দাম একটু বেশি বেড়েছে। তবে বাকি সব মসলার দাম এখন স্বাভাবিক অবস্থাতেই আছে আরব আমিরাতে।

দেশটিতে বর্তমানে ভারতীয় বড় এলাচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৫০ দেরহামে, দারুচিনি প্রকারভেদ অনুযায়ী ৩০ থেকে ৪০ দেরহাম,জিরা ২৫ দেরহাম, লবঙ্গ ৪৫ দেরহামে বিক্রি হচ্ছে তেজপাতা, দারুচিনি, কিশমিশ, বাদামজাতীয় পণ্যের বেশিরভাগের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

মসলা বিক্রেতারা বলেন, এ দেশে মসলা আমদানি করা লাগলেও আমদানিতে তো ঘাটতি নেই। তাই মশলার দামও তেমন বাড়েনি। আর মাল পাওয়াও যাচ্ছে। কোন সমস্যা হচ্ছে না। তাই মসলার দাম তেমন বাড়েনি।

প্রবাসী মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন,আমরা প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে আরব আমিরাতের মসলার বাজার থেকে দেশে পাঠাই থাকি,তা ছাড়া আমরা নিজেরা ও কোরবানির জন্য মসলা নিয়ে থাকি,এদেশে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এলাচ, দারুচিনি, জিরা, লবঙ্গ, জাবেত্রি, জায়ফল,শাহী জিরা, স্টার ফুলসহ হরেক রকম মসলা সহজে পেয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, আরব আমিরাত, সৌদি আরবসহ অধিকাংশ মুসলিম দেশে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম দিন উদযাপিত হবে আগামী ৬ জুন (শুক্রবার)। গত মঙ্গলবার (২৭ মে) আমিরাতের চাঁদ দেখা কমিটি এ ঘোষণা দেয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।