ক্যাশলেস লেনদেন হবে চট্টগ্রামের কোরবানির বাজারে

চট্টগ্রামের কোরবানির হাটের লেনদেনকে ক্যাশলেস করার ব্যাপারে একসাথে কাজ করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এবং বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই জন প্রতিনিধি অতিরিক্ত পরিচালক জুলিয়া চৌধুরী এবং যুগ্ম পরিচালক সালাহউদ্দীন মাহমুদ।

এ সময় প্রাথমিকভাবে এ বছর সাগরিকা গরুর হাট এবং নুর নগর হাউজিং গরুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন বুথ চালুর বিষয়ে ভূমি ও বিদ্যুৎসেবা প্রদানের আশ্বাস দেন মেয়র। এ দুটি বুথে এটিএম মেশিন, মোবাইলে আর্থিক লেনদেন সেবা, ডিজিটাল ব্যাংকিং ইত্যাদির সুবিধা উপভোগ করবেন কোরবানির বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা। পর্যায়ক্রমে আগামী বছর থেকে অন্যান্য হাটেও এই পদ্দতি শুরু হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক জুলিয়া চৌধুরী বলেন, কোরবানির বাজারকে কেন্দ্র করে ৭০ হাজার কোটি টাকার নগদ অর্থ লেনদেন হয়। নগদ লেনদেনের ঝুঁকি নিরসনে এবং সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০২২ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে প্রথমবারের মতো ৬টি বুথ বসায় ডিজিটাল লেনদেনের জন্য। সেবার মাত্র ৪ দিনে ৩৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কোরবানির বাজারে এ সেবা আরো প্রসারিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সভায় মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে চট্টগ্রামকে স্মার্ট নগরীতে পরিণত করার কাজ চলমান। এক্ষেত্রে এ ধরনের ডিজিটিাল সেবার উদ্যোগ চট্টগ্রামের বিপুল অর্থনৈতিক সম্ভাবনার সুফল ঘরে তুলতে সহায়তা করবে পাশাপাশি অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির হারও বৃদ্ধি করবে। এবার দুটি হাটের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে সবগুলো কোরবানির হাটে ক্যাশলেস লেনদেনের সুবিধা সৃষ্টি করবে চসিক।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, ভিসা কোম্পানির প্রতিনিধি মো. নাসিমুল ইসলাম, মাস্টারকার্ড কোম্পানির প্রতিনিধি সৈয়দ নাবিল রাইয়ান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।