ক্ষুধায় অজ্ঞান তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে জবানবন্দি

অভিমানে ঘর ছেড়ে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম আসা এক তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে তিন পাষণ্ড। তারা হলো- চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম কদুরখীলের মো. নয়ন (২৯), কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকার মো. আরিফুল ইসলাম (২৩) ও চাঁদপুরের শাহরাস্তির মো. আবদুল লতিফ (২২)। তারা চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ এলাকায় পৃথক ভাড়া বাসায় থাকে।

রোববার (৮ মে) ধর্ষণে অভিযুক্ত তিন আসামি পৃথকভাবে তিনজন বিচারকের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন।

তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে আসেন। টাকা না থাকায় তিনি কুমিল্লা ফিরতে না পেরে রেল লাইন ধরে হেঁটে শনিবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরের আকবরশাহ থানার শাপলা আবাসিক এলাকার মীর আউলিয়া মাজারের উত্তর পাশে একটি ঘরের সামনে ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত অবস্থায় বসে ছিলেন। অভিযুক্ত নয়ন তার অপর দুই সহযোগীর সহযোগিতায় পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের পাদদেশে দেওয়ালে ঘেরা একটি নির্জন নির্মাণাধীন বাড়ির ভিতরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ওসি আকবরশাহ থানা আরও বলেন, আমরা রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করেছি। রোববার আদালতে সোপর্দ করলে তিন আসামি তিন আদালতে পৃথকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ভিকটিম তরুণী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন আছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ক্ষুধায় ক্লান্ত ওই তরুণীকে তারা মুখ চেপে ধরলে ধস্তাধস্তিতেই অজ্ঞান হয়ে যায় ভিকটিম। অজ্ঞান অবস্থায় তিন পাষণ্ড ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে বলে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে উঠে আসে। এই ঘটনা অভিযুক্ত আরিফ ও নয়ন কোতোয়ালী থানায় ধর্ষণের মামলা গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেছিল।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।