খসরুর ‘মন পেতে’ ডাকা হরতালেও মাঠে নেই চট্টগ্রাম বিএনপির নেতারা

কেন্দ্রীয় বিএনপির অবরোধের মাঝে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা দিয়েছিল—চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে হরতাল ডেকেছিলেন তারা। কিন্তু বরাবরের মতো তিন ইউনিটের শীর্ষ নেতাদের কাউকে মাঠে দেখা যায়নি, দেখা যায়নি দলের বিভাগীয় সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমকেও। হরতাল সমর্থনে আগের দিন শনিবার দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান এবং এনামুল হক এনামের নেতৃত্বে মিছিল হয়েছিল নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকায়। আর সারা দিন নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল মিলে কিছু ঝটিকা মিছিল করেছে।

বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, উত্তর জেলার আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, নগর ও দক্ষিণ জেলা সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও মোশতাক আহমদকে দেখা যায়নি মাঠে। মোশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নেতার টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ আছে। সেই অভিযোগ দলীয় নেতাকর্মীদের হাতে নাজেহাল হয়েছেন তিনি। সেই থেকে দলের স্বাভাবিক কর্মসূচিতেও তাকে দেখা যায়নি।
একই অবস্থা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনে মেয়র পদে দলের মনোনয়ন চাওয়া এবং দলের আহ্বায়ক হতে চাওয়া এরশাদ উল্লারও।

বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম এবং নগরের সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর মাঠে না থাকলেও দলীয় নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করে মাঠে রাখতে আড়ালে কাজ করছেন বলে একাধিক নেতা জানান।

কর্মসূচি ডেকে আত্মগোপনে থাকার মতো নজীরবিহীন এমন ঘটনার অবসান কখন হবে তা বলতে পারছেন না খোদ নগর বিএনপির নেতারাও! ডা. শাহাদাতের ঘনিষ্ট একজন যুগ্ম আহ্বায়ক চট্টগ্রাম খবরকে বলেন—রাস্তায় বের হলে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের মুখোমুখি হতে হয়। একটা ভিতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাই আমরা মুভ করতে পারছি না।

এবিষয়ে জানতে ডা. শাহাদাত হোসেন, গোলাম আকবরসহ নেতাদের ফোন করে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ডা. শাহাদাতের ব্যক্তিগত সহকারী মারুফকে পাওয়া গেলে তিনি প্রশ্ন শোনেন। জবাব জেনে জানানোর কথা বলে আর জানাননি। এরপর তিনিও ফোন ধরেননি।

গোলাম আকবর চট্টগ্রামই আসেননি জানিয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারী অর্জুন বলেন—পুলিশ, আওয়ামী লীগ মিলে যা করতেছে রাস্তায় কীভাবে নামবে? যারা যারা পারছে তারা মিছিল পিকেটিং করছে।

নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ইদ্রিস আলী জানান—হরতাল ও অব‌রো‌ধের সমর্থ‌নে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদ‌লের সহ সভাপ‌তি ফজলুল হক সুম‌নের নেতৃ‌ত্বে পাহাড়তলী এলাকায়, নগর যুবদ‌লের সি‌নিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশার‌ফের নেতৃ‌ত্বে বহদ্দারহাট এলাকায় এবং স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে নগরীর নিমতলা, বা‌রিক বি‌ল্ডিং, ইপিজেড, সি‌টি গেইট, লালখান বাজার, অক্সি‌জেন ও বা‌য়ে‌জিদ লিং রো‌ড়ে মি‌ছিল হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।