চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় চাঞ্চল্যকর জিল্লুর রহমান ভান্ডারীর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. কামাল (৩৭)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকালে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার এ তথ্য জানান। এরআগে বুধবার ভোররাতে খাগড়াছড়ির সদর থানাধীন কলেজ পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার কামাল উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড গোদারপাড় এলাকার আমিনুল হক প্রকাশ আজাইম্মার ছেলে। তার বিরুদ্ধে রাংগুনিয়া থানায় ৬টি, নগরীর কোতোয়ালী থানায় ১টি এবং খাগড়াছড়ির সদর থানায় ১টি মামলাসহ সর্বমোট ৮টি মামলা রয়েছে।
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার জানান, এই মামলার রায় হওয়ার পর থেকেই পলাতক আসামিদের ধরতে ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. কামাল খাগড়াছড়িতে অবস্থান করছে। তাকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করে কলেজ পাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কামালকে। কামাল স্বীকার করে যে, সে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।
তিনি জানান, কামাল পেশায় একজন জীপ গাড়ীর ড্রাইভার। সে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একবার গ্রেপ্তার হয়ে ২০১৭ সালে জামিনে মুক্তি পায়। এরপর সে এলাকায় এসে সিএনজি চালানো শুরু করে। পরবর্তীতে মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার পরে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করে। সর্বশেষ সে রাঙামাটির সাজেক ভ্যালীতে একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ নেয়। সেখান থেকে সে অন্য একটি কাজের সন্ধানে খাগড়াছড়ি এলাকায় অবস্থার করা কালীন সময়ে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটের সামনে জিল্লুর রহমান ভান্ডারিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন বাদি হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেন। এই মামলার তদন্ত করে ১৩ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৬জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।
এমএফ
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।