খাতুনগঞ্জে শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, লোড-আনলোড শুরু

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ছুরিকাঘাতে এক শ্রমিকের মৃত্যুর জের ধরে বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি সন্ধ্যায় প্রত্যাহার করে নিয়েছেন লোড-আনলোড শ্রমিকরা।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর থেকে শ্রমিকরা কাজে ফিরেন। এর আগে এদিন সকাল ৬টায় আহত শ্রমিক মো. মাসুদ (৪১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মারা যান। তার মৃত্যুর খবরে দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি পণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জের শ্রমিকেরা লোড-আনলোডের কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভে নামেন।

গত ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় খাতুনগঞ্জের ওসমানিয়া গলির মেসার্স সামিরা ট্রেডিংয়ের সামনে ওই শ্রমিককে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। নিহত মো. মাসুদ চাক্তাই রাজখালী রোডের মো. বেলায়েত হোসেন বেপারির ছেলে।

এদিকে, মাসুদকে ছুরিকাঘাত ঘটনার পর থেকে খাতুনগঞ্জে কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে হামলাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন তারা। পরে বুধবার সকালে মাসুদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে পুনরায় কর্মবিরতি শুরু করেন লোড-আনলোড শ্রমিকরা।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, বুধবার মাগরিব নামাজের পরে রাজাখালীতে শ্রমিক মাসুদের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এরপর থেকে শ্রমিকরা কাজ শুরুর ঘোষণা দেন। সন্ধ্যার পর থেকে লোড-আনলোড শুরু হয়েছে।

চাকতাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার ও সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, মাসুদ নামে এক শ্রমিককে ছুরিকাঘাত করে কিছু দুর্বৃত্ত। এরপর থেকে ওই শ্রমিক চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার সকাল ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে শ্রমিকরা সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে পুরো খাতুনগঞ্জ স্থবির হয়ে যায়। শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে বলতে গেলে গত দুদিন খাতুনগঞ্জ কোনো পণ্য বেচাকেনা হয়নি। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনেছে।

তিনি বলেন, একজন শ্রমিককের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা খুবই নিন্দনীয়। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত সময়ে নিহত শ্রমিকের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হউক। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।