খারাপ সময়েও প্রধানমন্ত্রীকে উত্তর চট্টগ্রাম থেকে বেশী আসন উপহার দিয়েছি: মোশাররফ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, অতীতে যখন দলের খারাপ সময় গেছে তখনও আমরা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা থেকে বেশি আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিয়েছি। ২০০১ সালের নির্বাচনেও চট্টগ্রামের ২৩টি আসনের মধ্যে ২টি আসন পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। আর সেগুলো ছিল উত্তর জেলার অধীন।

রোববার (২৯ মে) দুপুরে হাটহাজারী পার্বতী স্কুলের মাঠে অনুষ্ঠিত উত্তর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন মিরসরাই আসন থেকে ৭বার নিবার্চিত এই সাংসদ। সম্মেলনে রেকর্ডেড (ভার্চুয়াল) বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম আল মামুনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল আলমের সঞ্চালনায় সকাল ১১টায় সম্মেলন শুরু হয়।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন কথার জবাবে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বিএনপি একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে। মির্জা ফখরুল অনেক কথা বলছেন। তারা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করবেন না। তারা চায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে। মির্জা ফখরুল, বিএনপি নির্বাচন অবশ্যই করবে, শুধু তালবাহানা করছে। নির্বাচন তো কমিশনের অধীনেই হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবো। নির্বাচনে সরকার প্রধান থাকবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামী নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের ভোট যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাকেই মনোনয়ন দেন না কেন তাকে নিয়ে আপনারা ঘরে ঘরে যাবেন। আদবের সঙ্গে ভোটারদের কাছে ভোট চাইবেন। আপনারা যদি আদবের সহিত ভোট চান আপনারা ভোট পাবেন।

সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান, দিদারুল আলম ও খাদিজাতুল আনোয়ার এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান।

বিকেল ৪টার পর সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে ২৪৬ জন কাউন্সিলর নিয়ে। দ্বিতীয় অধিবেশনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতিত্ব করছেন। এই অধিবেশন শেষ হলে ১৯ বছর পর সংগঠনের এই ইউটিনের সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।