পেকুয়ায় আত্মসমর্পণের ২ বছর পর খুন হলেন ‘দা বাহিনী’র প্রধান নাছির

কক্সবাজারের পেকুয়ায় নাছির উদ্দিন (৪৮)। বছর খানেক আগেও অস্ত্র হাতে টটস্থ করে তুলতেন পরিবেশ। স্থানীয় জলদস্যুদের নিয়ে গঠিত ‘দা বাহিনী’র প্রধান ছিলেন তিনি। তবে গত দুই বছর আগে র‌্যাবের হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে জেলা যান তিনি। এক বছর কারাভোগের পর স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করেও যেন ব্যার্থ হলেন। এক সময়ের দা বাহিনীর প্রধান খুন হলেন সেই দায়ের কোপেই!

রোববার (৩০ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের পন্ডিত পাড়া পৈত্রিক বসতভিটায় তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত নাছির উদ্দীন টৈটং ইউনিয়নের পন্ডিত পাড়ার মৃত আবুল হোছাইনের ছেলে। তিনি একাধিক মামলার আসামি।

প্রত্যক্ষদর্শী সাইফুল ও নিহতের ছেলে ইমরান জানান, এই এলাকার মুহাম্মদ কালুর ছেলে সাইফুল ইসলাম ও আসহাব উদ্দীনের ঝগড়া হয় আসহাব উদ্দীন সাইফুলকে মারধর করে। বিষয়টি সাইফুল নাছিরকে ফোন করলে নাছির এসে উভয়কে থামিয়ে বাড়ির দিকে চলে যায়। অর্ধেক পথ যাওয়ার পর হেলাল নামে এক ব্যক্তি নাছিরকে ফোনে ডেকে এনে আসহাব উদ্দীনের বাড়ির সামনে আসলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

কালু তার দুই ছেলে এগিয়ে আসলে তাদেরকে কুপিয়ে আহত করে পরে টৈটং বাজার থেকে লোক এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পেকুয়া হাসপাতাল পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়ার পথে গাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

নিহতের ছেলে ইমরান দাবি করেন, এই হত্যাকাণ্ডে এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে মোজাফফর আহমদ, তার ছেলে আসহাব উদ্দীন, তার মেয়ে হাজারা বেগম, আসহাব উদ্দিনের স্ত্রী জন্নাতুল ফেরদৌস, ছাবের আহমদের ছেলে জাহেদুল ইসলাম ও জুনাইদ এবং একই এলাকার মুহাম্মদ শাকের সরাসরি জড়িত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরহাদ আলী বলেন, ঘটনার পর এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। এখনো কোন মামলা দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।