জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে দেশের গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদ এবং তাদের দোষর মুক্ত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিএমইউজে নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের দাবিও জানান বিগত ১৮ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকা পেশাজীবী এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সিএমইউজে নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান। সংগঠনের সভাপতি মো. শাহ নওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান ও দৈনিক দিনকালের ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন—চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির সভাপতি মোস্তফা নঈম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও সাপ্তাহিক ইজতিহাদ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দিন কাদেরী শওকত, সিএমইউজের সদস্য ও সাংবাদিক নেতা শহিদুল ইসলাম, সাইফুল্লাহ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম শিল্পী, মাহবুব মাওলা রিপন, আবু সুফিয়ানসহ প্রমূখ সাংবাদিকবৃন্দ।
এ ছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, রিদুয়ান সিদ্দিকী, নিলা আফরোজ, তানভীর শরীফ, ইব্রাহীম কুরায়শী, ছাত্র প্রতিনিধি লুৎফর রহমান রোহান, বায়াতুল্লাহ বায়াত প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত দিনে স্বৈরাচার হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে এবং টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে নির্লজ্জ ভূমিকা রেখেছিল একশ্রেণীর গণমাধ্যম কর্মী ও মালিকরা। বিভিন্ন হাউজ থেকে বাছাই করে ফ্যাসিজম বিরোধী সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। গণভবনে সাংবাদিক নেতারা বসে ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহিতার পরিবর্তে চাটুকারীতায় লিপ্ত ছিলেন। আমরা অবিলম্বে দেশবিরোধী সে সকল চাটুকারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ১১৩ বার পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক সাগর এবং রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন আওয়ামী লীগ সরকার ১১১ বার পরিবর্তন করেছিল। মামলা নিষ্পত্তির জন্য সরকারের উদ্যোগ দৃশ্যমান হলেও আমরা চাই এটি দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক। এছাড়া আওয়ামী লীগ আমলে ৬৪ জন এবং গণ অভ্যুত্থানে ৫ জন সাংবাদিককে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আমরা প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচারের জোর দাবি জানাই এই সমাবেশ থেকে।
সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে আইন প্রণয়ন করতে হবে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আর কোন প্রকৃত গণমাধ্যম কর্মী যাতে কোন রূপ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি না হন সেই বিষয়টি রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।