ঘাটে নোঙর ৬ হাজার ট্রলার, সংকটে লাখ জেলে

৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে এখনো সাগরে যেতে পারছেন না কক্সবাজার উপকূলের জেলেরা। গত ২০ দিনে ৪ বার ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি হওয়ায় প্রায় ৬ হাজার ফিশিং ট্রলার বাঁকখালী নদীর বিভিন্ন ঘাটে নোঙর করে আছে। ফলে কাজ হারিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রায় এক লাখ জেলে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। গত বছরের জুলাইয়ে ১৩ বার সতর্ক সংকেত জারি হয়েছিল, এবারও এরই মধ্যে ৪ বার সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে রেকর্ড ১ হাজার ৭০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে উপকূলীয় এলাকায়।

মহেশখালী, টেকনাফ, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ার জেলেরা জানান, সাগর উত্তাল থাকায় তাঁরা মাছ ধরতে যেতে পারছেন না। কেউ কেউ পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন, আবার কেউ ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

জেলে কুতুব উদ্দিন বলেন, সাগর না গেলে আয় হয় না। সংসার চলবে কীভাবে?’ জেলে আরিফ বলেন, ‘জীবনের ১০ বছরে এমন দুর্দিন আর দেখিনি।

ট্রলার মালিকরাও একই সংকটে। জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১২ জুন নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও সাগর শান্ত হয়নি। জেলেরা আয়হীন, মালিকেরা লোকসানে। এই পরিস্থিতিতে জেলে ও মালিকদের জন্য সরকারের বিশেষ সহায়তা দরকার।

জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সহায়তার উপায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।