সংঘতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ব্যবসায়ীরা। সহায় সম্বল হারিয়ে অনেকে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। তবে সরকারের সহায়তার আশ্বাস এখনও তাদের শক্তি যোগাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি সহায়তা নিয়ে দ্রুত তারা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে চান।
জানা গেছে, গত ১৯ সেপ্টম্বর দীঘিনালা উপজেলার বাস স্টেশন সংলগ্ন বটতলা বাজার ও লারমা স্কয়ার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। এদিকে দাঙ্গা চলাকালীন সময়ে ৮৭ টি স্থায়ী ও সড়কের পাশে ভ্রাম্যমান ৯৪ ব্যবসায়ীদের দোকান পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। লুট-পাট করে নিয়ে যাওয়া হয় ২৬টি দোকানের মালামাল।
এদিকে অগ্নিসংযোগ করা হয় পরিবহনেও। এতে ব্যাটারিচালিতি ইজিবাইক, সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ ২০ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করা হয়।
লুটপাট হওয়া মোবাইলের দোকান তারেং এর স্বত্বাধিকারী কুসুম চাকমা বলেন, আমার দোকানে ভাংচুর করে মোবাইলসহ ইলেকট্রনিক্সের সব মালামাল নিয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া ব্যবসায়ী সৈয়দ কুসুম বলেন, আমার দোকানে অন্তত ১৩০টি গ্যাস সিলিন্ডার ছিলো তা পুড়েছে। আমি এখন নিঃস্ব, সরকারের সহায়তা পেলে আবারও নতুন করে শুরু করবো।
জানতে চাইলে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুর রশীদ বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বাজার ব্যবসায়ী, গণমাধ্যম কর্মী ও সংশ্লিষ্ট সকালের প্রচেষ্টায় অন্তত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। পুড়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় হতে খাদ্য শস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, খুব শিগগিরই বরাদ্দ আসলে তা বিতরণ করা হবে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।