১৯৬৩ সাল থেকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসা লায়ন্স দাতব্য চক্ষু হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালে পরিণত হচ্ছে।
শনিবার (৮ জুলাই) লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটাল উদ্বোধন করবেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান লায়ন নাসিরুদ্দিন চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে লায়ন নাসিরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ১৯৬৫ সালে ৩০ শয্যা নিয়ে এ হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হয়েছিল। বর্তমানে ১০০টি শয্যায় উন্নীত হয়েছে। চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশনের একটি গর্বিত প্রকল্প চট্টগ্রাম লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটাল। চক্ষু বিষয়ক উচ্চতর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অনুমোদন লাভ করেছে। সে প্রেক্ষিতে গত জানুয়ারি থেকে এমএলওপি এবং পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট সাবস্পেশালিটি ফেলোশিপ কোর্সের কার্যক্রম শুরু হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে এই হাসপাতাল প্রতিদিন দুই শিফটে সাড়ে ৫শ থেকে ৬শ দুস্থ, গরিব, দরিদ্র রোগীকে বিনামূল্যে এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির রোগীকে সাশ্রয়ীমূল্যে চক্ষু সংক্রান্ত সব রোগের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। ইনস্টিটিউট চালু হলে সেই সেবার পরিধি আরও বাড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন নাজমুল হক চৌধুরী, সাবেক জেলা গভর্নর লায়ন সিরাজুল হক আনসারী, সেক্রেটারি লায়ন ডা. দেবাশীষ দত্ত, ট্রেজারার লায়ন এস জোহা চৌধুরী, অ্যাসোসিয়েট সেক্রেটারি লায়ন আশরাফুল আলম আরজু, একাডেমিক ডিরেক্টর ডা. প্রকাশ কুমার চৌধুরী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে চক্ষু শিবির, স্কুল সাইট স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম ও পারিবারিক স্বাস্থ্য পুষ্টি এবং শিক্ষা প্রকল্প এবং সিটি সেন্টারে আধুনিক মানের হাসপাতাল—এই সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশন ১৯৬৩ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিভাগে অন্ধত্ব বিমোচন, দূরীকরণ ও চক্ষুরোগের চিকিৎসা পরিচালনা করে আসছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।