চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার প্রখ্যাত ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৮টায় বার্ধক্যজনিত কারণে চট্টগ্রামের ফিরোজশাহ এলাকার নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি সিজেএমসিএল ও ভিক্টোরি জুট প্রোডাক্টসে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি শিপ ব্রেকিং শিল্পের একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল। শুধু শিল্প ও ব্যবসা নয়, ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনেও তিনি ছিলেন একজন শ্রদ্ধেয় ও সুপরিচিত ব্যক্তি। এলাকার বহু মসজিদ, মাদ্রাসা ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে তিনি অনবদ্য অবদান রেখেছেন। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে বহু মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনেছেন তিনি।
মরহুম আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক স্ত্রী, পাঁচ পুত্র, দুই কন্যা, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর সন্তানদের মধ্যে রয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, কানাডিয়ান কাউন্সিল অফ ইমামস-এর সেক্রেটারি জেনারেল শায়েখ আবু নোমান তারেক, ইসলামীক এইড বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক এটিএম আব্দুল গফুর নাছির, দৈনিক আমাদের বাংলার উপসম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবু ফাতাহ মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন নাজিম এবং চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. এ কিউ এম মুজাহিদুল ইসলাম।
সোমবার মাগরিবের নামাজের পর পশ্চিম ফিরোজশাহ ঈদগাহ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তার মৃত্যুতে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও ব্যবসায়ী মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন মহল থেকে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাকাম দান করুন—এই দোয়াই সকলের।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।