চট্টগ্রামের বৃদ্ধ আবুল কাশেম সৌদি থেকে ফিরেছেন ঢাকা, খুঁজছেন স্বজনদের

আবুল কাশেম নামের চট্টগ্রামের এক বয়োবৃদ্ধ রেমিট্যান্স যোদ্ধা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে সৌদি আরব থেকে খালি হাতে ফিরেছেন দেশে। আছেন উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশান ওয়েলফেয়ার সেন্টারে। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তিনি বাড়ির সঠিক ঠিকানা বলতে না পারলেও রাউজান এবং মিরসরাইয়ের দুটো ঠিকানা এবং স্বজনদের নাম জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচির প্রধান শরীফুল হাসান চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, বয়োবৃদ্ধ আবুশ কাশেম ১৪ জানুয়ারি সৌদিআরব থেকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছেন। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ উক্ত কর্মীর পরিবারের সন্ধান ও তাকে নিরাপদে হস্তান্তর করার জন্য ব্র্যাক মাইগ্রেশান ওয়েলফেয়ার সেন্টারে হস্তান্তর করেছেন। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তিনি সঠিক ঠিকানা বলতে পারছেন না।

রাউজান এবং মিরসরাইয়ের দুটি ঠিকানার কথা উল্লেখ করে শরীফুল হাসান বলেন, আবুল কাশেম রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের গরিশংকরহাট এবং মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাটের কথা বলতে পারছেন। মান্নান, নূর হাসান, এনামুল হাসান নাতে তাঁর তিন ছেলের নাম বলতে পারছেন।তিনি ট্রাভেল পাস নিয়ে এসেছেন। তাঁর কাছে কোন পাসপোর্ট না থাকায় ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

আবুল কাশেম তার পিতার নাম ফজেল আহমেদ ও মাতা সাবানা বলে জানিয়েছেন। তার ছয়জন কন্যা সন্তানও রয়েছে বলে জানান।

বৃদ্ধ আবুল কাশেমকে চিনলে বা তার সম্পর্কে কোনো তথ্য জানলে ব্র্যাক মাইগ্রেশান ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল-আমিন নয়নের সাথে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অথবা চট্টগ্রাম খবর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে চট্টগ্রাম খবরের পক্ষ থেকে বৃদ্ধ আবুল কাশেমকে স্বজনের কাছে ফিরতে সহযোগিতা করা হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।