চট্টগ্রামের শওকত-জাফর-বারী-বিধানসহ অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন ৪৬ এসপি

বাংলাদেশ পুলিশের ৪৬ পুলিশ সুপারকে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগর পুলিশে কর্মরত দুই জন এসপি, একজন ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জে কর্মরত অপরজন খাগড়াছড়ির সন্তান পুলিশ সদরদপ্তরে কর্মরত।

মঙ্গলবার (৩১ মে) উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাশ স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এসব কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়।

পদোন্নতি পাওয়াদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপির) উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আমির জাফর এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে কর্মরত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান বারী নূর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।

সুদানের দারফুরে (মিশনে) কর্মরত সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার হাসান মো. শওকত আলীও পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি ১৮তম বিসিএস-এ পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেন। হাসান মো. শওকত আলী মিশনে যাওয়ার আগে সিএমপিতে কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের উপ-কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি বন্দর বিভাগ এবং পিওএম বিভাগের উপ-কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

পদোন্নতি আমির জাফর উপ-কমিশনার সদর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি সিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সিএমপিতে আসার আগে তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মানিকগঞ্জের সন্তান আমির জাফর চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ডিআইজি রেঞ্জে কর্মরত এসপি মোহাম্মদ হাসান বারী নূর কুমিল্লার দাউদকান্দির সন্তান। তিনি কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট স্কুল থেকে এসএসসি, ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন শেষে ২০তম বিএসএস-এ পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেন।

হাসান বারী নূর দারফুর এবং কঙ্গোতে দুই দফায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পুলিশ সদরদপ্তরে কর্মরত পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা চট্টগ্রামের কোনো ইউনিটে দায়িত্ব পালন না করলেও তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার সদর উপজেলার সন্তান। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ২০তম বিসিএস-এ পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেন।

বিধান ত্রিপুরা এর আগে মানিকগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পদোন্নতি পাওয়া অন্যান্য পুলিশ কর্মকতারা হলেন–পুলিশ অধিদপ্তরের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক, বেগম সহেলী ফেরদৌস, মো. জালাল উদ্দিন আহমেদ, বেগম রেবেকা সুলতানা, বেগম হাসিনা রহমান, আলমগীর কবির, মো. আব্দুর রাজ্জাক, একেএম মোশাররফ হোসেন মিয়াজী ও পুলিশ অধিদপ্তরের পুলিশ সুপার বেগম শামসুন্নাহার।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জোবায়েদুর রহমান, মো. নিজামুল হক মোল্যা, এসএম এমরান হোসেন, মোছা: ফরিদা ইয়াসমিন, আশরাফুল ইসলাম, টুটুল চক্রবর্তী।

অপরাধ তদন্ত বিভাগ, ঢাকার পুলিশ সুপার বেগম রুমানা আক্তার, বেগম কানিজ ফাতেমা, খান মোহাম্মদ রেজোয়ান, বেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ সাইদুর রহমান খাঁন। বিশেষ শাখা (এসবি) ঢাকার পুলিশ সুপার এজাজ আহমেদ, মো. মনিরুজ্জমান, বেগম ফরিদা ইয়াসমিন, মো. আসদ উল্লাহ চৌধুরী।

১১ আর্মড পুলিশের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) বেগম শাহিনা আমিন, তোফায়েল আহমেদ, স্পেশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন (এসপিবিএন) ঢাকার মোহাম্মদ মনিরুজ্জমান, পুলিশ স্টাফ কলেজের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ করিম, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি রাজশাহীর মো. আনিছুর রহমান, মো. আব্দুস সোবহান, নৌ পুলিশ ইউনিট ঢাকার পুলিশ সুপার খো: ফরিদুল ইসলাম।

রেঞ্জ ডিআইজি ঢাকার পুলিশ সুপার বেগম সুলতানা নাজমা হোসেন, মো. জিয়াউল হক, রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রাশীদুল হাসান, মো. সাজিদ হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ ইউনিট ঢাকার পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন, সঞ্জয় কুমার কুন্ডু, রেলওয়ে পুলিশ ইউনিট ঢাকার পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন, ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার কুমিল্লার কামান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) নরেশ চাকমা।

কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, হাইওয়ে ইউনিট পুলিশ সুপার মো. হামিদুল আলম, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবীর, মো. ইকবাল।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।