চট্টগ্রামে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এক কিশোরসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি জানিয়েছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এর আগে, গত ১৩ আগস্ট ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী শাহাদাতকে ছিনতাইকারী সন্দেহে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ বদনা শাহ মাজারের কাছে ফেলে দেওয়া হয়। গতকাল পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
শাহাদতের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ছয়টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— ফরহাদ আহমেদ চৌধুরী (৪২) এবং আনিসুর রহমান ইফাত (১৯)। ফরহাদ আহমেদ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এডমিন।
সিএমপি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এডিসি (জনসংযোগ) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, গত ১৩ আগস্ট শিক্ষার্থীরা যখন নগরীর বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছিল, তখন ফরহাদ ও তার দল ষোলশহর এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য ‘চট্টগ্রাম ছাত্র জনতা ট্রাফিক গ্রুপ’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলেন। তিনি জানান, এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১২০ জন।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সময় তারা মোবাইল ছিনতাইকারী সন্দেহে শাহাদাতকে আটক করে। তারা তার হাত খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতন শুরু করে। প্রায় ২০ জন এই ঘটনায় অংশ নেয়। এক পর্যায়ে শাহাদাত ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন বলে জানান তারেক। দলটি পরে প্রমাণ নষ্ট করতে বদনা শাহ মাজারের কাছে মরদেহ ফেলে দেয়।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।