চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে শিশু ও নারীর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি আরও শতাধিক

চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক শিশু ও এক নারীর মৃত্যু এবং নতুন ১০১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে মোট ২০ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত হলেন ১ হাজার ৫৬৫ জন।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দেওয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নিহতরা হলেন- আনোয়ারা থানাধীন রাজিব ধরের মেয়ে রাজেশ্বরী ধর (১০)। সে ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে শনিবার (১৫ জুলাই) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সোমবার তার মৃত্যু হয়। অপরজন ইলিনা হক (৩৫)। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার মহিউদ্দিনের মেয়ে। তিনি সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬৬ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৩৫ জন। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৩০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৩৩৫ জন।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডেঙ্গু কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ও কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ মিসেস এনতেজার ফেরদৌস বাসস বলেন, একমাত্র এডিস ছাড়া অন্য কোনো মশা ডেঙ্গু ছড়াতে পারে না। ‘যে কোনো জাতের মশা ডেঙ্গু রোগীকে কামড়ানো পর সুস্থ কাউকে কামড়ালে তিনিও ডেঙ্গু আক্রান্ত হবেন’ সম্প্রতি চট্টগ্রামে এমন একটি জোর গুজবের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এনতেজার ফেরদৌস বলেন, এডিস মশার মাঝেই একমাত্র ডেঙ্গুর ভাইরাস বেঁচে থাকে। অন্য কোনো মশা ডেঙ্গু রোগীকে কামড়ালে সেটির পেটে ভাইরাস ঢুকবে ঠিকই, কিন্তু বেঁচে থাকতে পারবে না। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এ পর্যন্ত এমন তথ্যই এসেছে।

তিনি বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে শহর-গ্রাম সর্বত্রই এখন এডিস মশার বিচরণ রয়েছে এবং এ কারণে প্রকোপও দিনদিন বাড়ছে। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক প্রচারিত ডেঙ্গুর সতর্কবার্তা পুরোপুরি মেনে চলার জন্য সর্বস্তরের মানুষের প্রতি অনুরোধ জানান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।