চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও পেশায় ব্যাংকার দেবযানী দাশের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের বিচারের দাবীতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্দরা নগরীর রহমতগঞ্জ বাংলা কলেজ এলাকায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিটিআই সাত্তার মন্জিলের ফ্ল্যাট ওনার এসোসিয়েশনের সভাপতি উৎপল রক্ষিত, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ফ্ল্যাট ওনার নরোত্তম শাহা পলাশ, হামলার শিকার দেবযানী দাশের মা শিখা দস্তিদার।
শিখা দস্তিদার বলেন, আমার মেয়েকে ছোট কাল থেকে কখনো আমি শাসনের জন্য মারিনি। পরম আদর যত্নে বড় হওয়া আমার মেয়ে এখন মৃত্যু শয্যায়। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
দেবযানী দাশের বন্ধু গণমাধ্যম কর্মী ফারুক মুনিরের সঞ্চালনায় এবং নোমান রাসেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সায়মা আলম, চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুব্রত দাশ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি, জিয়াউল হাসান, অ্যাডভোকেট বিষুময় দেব প্রমূখ।
সমাবেশে তার বন্ধুরা বলেন, আহম্মেদ ফয়সাল গং দেবযানীকে হত্যা করতে চেয়ে সমাজ ও প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করেছে যা একটি ভয়ংকর পরিস্থিতিকে ইংগিত করে। দেবযানীর বন্ধুরা অপরাধীদের গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং অপরাধীকে বিন্দুমাত্র ছাড় না দেয়ার দৃঢ় অংগীকার ব্যক্ত করেন। তাই কাল বিলম্ব না করে আসামীদের অতি সত্বর গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে প্রশাসনকে দেবযানীর প্রতি ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট বিকেলে দেবযানীর মালিকানাধীন চট্টগ্রাম নগরীর রহমতগঞ্জস্থ বিটিআই সাত্তার মন্জিলের ফ্ল্যাট দখল করতে আসে ডা. আহমেদ ফয়সালের ২৫ থেকে ৩০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী। দখলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে সন্ত্রাসীরা দেবযানীর ওপর হামলা করে। আহত দেবযানী মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। এখনও তিনি চিকিৎসাধীন।
দেবযানী এসএসসি ৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী। এসএসসি ৯৬ ব্যাচের বন্ধুরা মূলত এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।