চট্টগ্রামে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধদের একজনের মৃত্যু

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এসএন করপোরেশন নামে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আহমেদ উল্লাহ (৩৮)। তিনি এসএন করপোরেশনে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আহত আরও ৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার অ্যান্ড রিসাইকেলিং অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব নাজমুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘দগ্ধ হওয়া ১২ জনের মধ্যে ৮ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রবিবার বিকালে হস্তান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে একজন মারা গেছেন।’

বর্তমানে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সাত জন হলেন– বরকত উল্লাহ (২৩), আনোয়ার হোসেন (৫০), আল আমিন (৩৬), জাহাঙ্গীর (৪৮), হাবিব (৩৬), কাসেম (৩৯) ও খায়রুল (২১)।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. রায়হানুল কাদের বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে আহত ১২ জনকে রবিবার দুপুর ১টার দিকে চমেক হাসপাতালে আনার পর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত আট জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চার জনকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের একজনের শরীরের ২১ শতাংশ পুড়ে গেছে। বাকিদের অবস্থা বেশি জটিল নয়। পুড়ে যাওয়া ছাড়াও চিকিৎসাধীন চার জনের কানে কম শোনাসহ নানান সমস্যা রয়েছে।’

এর আগে, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকার এসএম করপোরেশন ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে শিপ ইয়ার্ডে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।