চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলন ঘিরে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে নগরের কোতোয়ালী থানায় নতুন করে একটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া নগরের পাহাড়তলী থানায়ও আরেকটি মামলা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২। অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলার দশটি থানায় ১১টি মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের অধিকাংশই জামায়াত-বিএনপি সমর্থক ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি দেখে মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) নগর পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার (এডিসি-পিআর) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, সিএমপিতে ২২ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫৬৬ নাশকতাকারী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান চলমান রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, গত চব্বিশ ঘণ্টায় ১২ জনসহ জ্বালাও, পোড়াও এবং নাশকতার ১১ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বিকেলে নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হন। গত ১৮ জুলাই চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাটে সংঘর্ষে ২ জন নিহত হন। এ সময় চান্দগাঁও থানায় হামলা, ভাঙচুর ও পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এদিন বহদ্দারহাটে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ চবি শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া গত ২৩ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।