চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রিজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এসব ইয়াবা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার চার আসামি হলো- আনোয়ারা থানার দোভাষীবাজারের মৃত কবির আহমদের পুত্র মো. ইলিয়াস (৪৫), একই এলাকার জানে আলমের পুত্র ইমরান হোসেন রাসেল (২৪), কর্ণফুলী থানার দৌলতপুর গ্রামের মীর মাহমুদুল হকের পুত্র মীর এরফানুল হক মারুফ (২৩) ও ফটিকছড়ি থানার বুথপুরা বাজারের মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র সিএনপি ড্রাইভার গিয়াস উদ্দিন (২৮)।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী সিএনপিজ যোগে ইয়াবা নিয়ে বাঁশখালী হতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি করা হয়।
এ সময় একটি সিএনজি তল্লাশি করে আটক আসামী মোঃ ইলিয়াসের কাধে থাকা একটি ব্যাগের ভিতরে বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় স্কচটেপ ও কাগজ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় ১ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার করা হয় এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহিত একটি সিএনজি জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, দীর্ঘদিন কক্সবাজার জেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ইয়াবা সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে একে অপরের যোগসাজশে অধিক লাভের আশায় চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছিল। তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকা।
গ্রেফতার আসামি এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।