চট্টগ্রাম নগরীকে পলিথিনমুক্ত রাখতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নিষিদ্ধ ২ হাজার ৯৭৬ কেজি পলিথিন জব্দ করে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়া পলিথিন রাখার অপরাধে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) নগরীর জেল রোড, আছাদগঞ্জ, রিয়াজুদ্দিন বাজার, চাকতাই এবং বাকলিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা ও সিলগালা করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযানে অংশ নেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চান্দগাঁও সার্কেলের এসিল্যান্ড ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা জেল রোডের ১০টি দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। দোকানগুলোতে কোন নিষিদ্ধ পলিথিন পাওয়া না গেলেও একটি গোডাউনে তালাবদ্ধ অবস্থায় পলিথিনের ব্যাপক মজুদ পরিলক্ষিত হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ছোট ছোট ১১টি কক্ষের তালা ভেঙে প্রায় ২ টন পলিথিন জব্দ করা হয়। এ সময় গোডাউনের মালিক পালিয়ে যাওয়ায় গোডাউনের সবগুলো কক্ষে তালা লাগিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এছাড়া একজন ব্যবসায়ীকে অল্প কিছু পলিথিন দোকানে রাখার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন রিয়াজুউদ্দিন বাজার এলাকায় বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম এন জামিউল হিকমার তত্ত্বাবধায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বেশ কিছু দোকান থেকে ৬শ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয় এবং মাহফুজ সালাম ও মো. আব্দুর রহমান নামে ২ জন ব্যাক্তিকে ৩ হাজার করে মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদের নেতৃত্বে নগরীর আছাদগঞ্জ, চাকতাই ও বাকলিয়া এলাকায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইনে নিষিদ্ধ পলিথিন বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৭টি কারখানা ও ২০টি মজুদকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। অভিযানে নিষিদ্ধ পলিথিন মজুদের দায়ে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং ৩৭৬ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে, জব্দকৃত সকল পলিথিন ধ্বংস করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের ৩ জন সহাকারী পরিচালক, পাট উন্নয়ন সহকারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যবৃন্দ অভিযানে সহায়তা করেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম নগরীকে পলিথিনমুক্ত করার লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং এ ব্যাপারে প্রশাসন আরও কঠোর হবে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।