চট্টগ্রাম কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। কলেজ ক্যাম্পাসের রসায়ন ভবনের সামনে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার নাম করে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। পুলিশ অভিযুক্ত পিয়ন মোশাররফ হোসেন মানিককে ফেনী ফুলগাজীর গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে রিমাণ্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে রিমান্ড শেষে তাকে আবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে চকবাজার থানার ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবর চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, মামলা তদন্ত চলছে। আসামি একদিনের রিমান্ডে এনে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে আবার আদালতে সোপর্দ করেছি। তদন্ত চলা মামলায় এর বেশী কথা বলার সুযোগ নেই।
চট্টগ্রাম আদালত সূত্রে পাওয়া মামলার এজাহারে ওই পরীক্ষার্থী উল্লেখ করেন, ২৭ জুন তার মাকে নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে তিনি কলেজে যান। প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে দেরি হচ্ছে দেখে তিনি মাকে বাসায় পাঠিয়ে দেন। মা বাসায় চলে গেলে তিনি পদার্থ বিজ্ঞান ভবনের ওয়াশরুমে যান। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তার আরেক সহপাঠীর সঙ্গে দেখা হয়।
সহপাঠির সঙ্গে ওয়াশরুমের সামনে কথা বলতে দেখে অভিযুক্ত ওই পিয়ন মানিক। একসাথে ওয়াশরুমে দেখার বিষয়টি ছাত্রীর পরিবার এবং কলেজ প্রিন্সিপালসহ সবাইকে বলে দেয়ার ভয় দেখায় অভিযুক্ত মানিক। পরে প্রবেশপত্র সংগ্রহ শেষে মানিক ওই ছাত্রীকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার প্রস্তাব দেয়।
মানিকের প্রস্তাবে ওই ছাত্রী রাজি হয়ে বাসায় যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশায় ওঠে। পথে মানিক সিএনজি থেকে নামিয়ে কোতোয়ালি থানা দিন স্টেশন রোডের একটি হোটেল রুমে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে গত ২৭ জুন। একদিন পর ২৯ জুন ওই ছাত্রী অভিভাবক নিয়ে এসে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ অফিসিয়ালি জানায়নি, আমিও শুনেছি।
এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে আপনার ভূমিকা কী ছিল জানতে চাইলে, উনি ‘চিকিৎসকের চেম্বারে আছি, কাল অফিস সময়ে কলেজে আসেন’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।
অভিযুক্ত মানিকের বাড়ি ফেনীর মোশাররফ হোসেন মানিক (৩০) ফেনী জেলার ফুলগাজী থানার দরবারপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর জাফর মাস্টারের পুরাতন বাড়ির তোফায়েল আহমদের ছেলে। বিবাহিত মানিক এক সন্তানের জনক বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ভিকটিম শিক্ষার্থীর মেডিকেল সম্পন্ন হয়েছে এবং সেখানেও ধর্ষণের বিষয়টি ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট এসেছে। অভিযুক্ত মানিক অভিযোগ স্বীকার করেছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।