চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের আরও দুই হাজতির মৃত্যু

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের আরও দুই বন্দি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন। আব্দুস শুক্কুর (৬০) ও রফিকুল ইসলাম (৭৩) নামের এই দুই বন্দি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কাগারাগের ছয় হাজতি মারা গেলেন।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. এমরান হোসেন মিঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, রোববার (১৮ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃথক সময়ে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত বন্দি আব্দুস শুক্কুর নগরের চান্দগাঁও থানার দক্ষিণ মোহরার এবং রফিকুল ইসলাম ওরফে হাতকাটা রফিক হালিশহর থানার ছোটপুল এলাকার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মনির হোসেন জানান, রোববার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি আব্দুস শুক্কুর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারা হাসপাতালের সহকারী সার্জনের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাত ১টা ৩০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আব্দুস শুক্কুর চান্দগাঁও থানার একটি মাদক মামলায় দুই বছরের দন্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠান আদালত।

অপরদিকে শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রফিকুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তৃতীয় তলার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল (রোববার) বিকেলে তার মৃত্যু হয় বলে জানান ডেপুটি জেলার মনির হোসেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন হওয়া মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলার আসামি মৌলভী জকোরিয়া (৫৩) মারা যান। তার আগে ৪ এপ্রিল চন্দনাইশের মো. রফিক উদ্দিন (৫৪), মো.বাবুল মিয়া (৩৪) নামে দুই হাজতি মারা যান। ১১ ফেব্রুয়ারি সাতকানিয়ার মো. জামাল উদ্দিন প্রকাশ জামাল ডাকাত (৬৭) চট্টগ্রাম কারাগারে মারা যান।

পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাদিকুর রহমান বলেন, কারাগার থেকে গতকাল বিকেলে এবং রাতে চমেকে আসা দুই হাজতি মারা গেছেন। আইনগত বিষয় শেষে তাদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।