চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেছেন।
ইতোমধ্যে কোতোয়ালীতে কর্মরত একাধিক চৌকষ অফিসারকে তদন্তে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তারাও আগের গঠিত টিমের সাথে মাঠে নেমেছেন।
অপর দিকে সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক টিমও ইভানের খুনীদের আইনের আওতায় আনতে মাঠে নেমেছে বলে চট্টগ্রাম খবরকে জানিয়েছেন একজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার।
তিনি বলেন, ঈদ মৌসুম হওয়ায় সিএমপি জনবলের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে ব্যস্ত। যে টিমটি ডেডিকেটেড হয়ে ইভানের খুনীদের ধরতে কাজ করছে তাদের সাথে সমন্বয় করে গোয়েন্দা বিভাগ থেকে কাজ করা হচ্ছে। আর কোতোয়ালীর আরও একাধিক চৌকষ অফিসার কাজ করছে।
খুব অল্প সময়ে খুনীরা পুলিশের কব্জায় আসবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তদন্ত সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা জানান, খুনীরা ধরা পড়বেই। বাঁচার সুযোগ নেই। একদিকে জব্বারের বলী খেলা ও মেলার নিরাপত্তা। অপরদিকে ঈদ মৌসুম হওয়াতে ক্রেতা-বিক্রেতা ছাড়াও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা মাঠে ব্যস্ত। মেলা শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্যাংকিং শেষ হচ্ছে। আর থাকছে মার্কেট কেন্দ্রিক ব্যস্ততা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কিছু অফিসার মাঠের ডিউটি শেষ করে তদন্তে সম্পৃক্ত হলো। আমরা যেভাবে অগ্রসর হচ্ছি কোনো খুনিই পার পাবে না।
প্রসঙ্গত, গত ২২ রাতে জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিল শৈবাল দাশ সুমনের অনুসারী ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারিতে তার বাসার অদূরেই খুন হয় আসকার বিন তারেক ইভান। এই ঘটনায় আহত একজনকে পুলিশ আটক দেখিয়েছে। এছাড়া আর কোনো আসামিকে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।