চট্টগ্রাম নগরীতে রোহিঙ্গা আজিমের হাতে শাশুড়ি খুন—ধরলো বন্দর থানা পুলিশ

চট্টগ্রাম নগরীতে মেয়ের জামাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন মঞ্জুরা বেগম রুমা (৫০) নামের এক নারী। মঞ্জুরা বেগমের খুনের অভিযোগে পুলিশ তার মেয়ে জামাই মো. আজিমকে গ্রেপ্তার করেছে। আজিম কর্ণফুলীর শিকলবাহা জামালপাড়ার আলী জোহারের ছেলে। তার পূর্ব পুরুষ মিয়ানমার থেকে কর্ণফুলী এসে বসতি গড়েছে।

এই ঘটনায় নিহত মঞ্জুরার ছেলে মো. জুয়েল বাদি হয়ে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত মঞ্জুরা কক্সবাজার ঈদগাঁর পূর্ব ভাদিতলা বকুমাপাড়ার মৃত তাহেরের স্ত্রী।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা। তিনি বলেন, মঞ্জুরা বেগম হত্যার অভিযোগে আমরা আজিমকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে আজিম তার শাশুড়িকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম নারী বন্দর থানাধীন কলসীদীঘি রোডস্থ কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরীর বিল্ডিংয়ের ৪র্থ তলায় ৯ নম্বর রুমে তার মেয়ের বাসায় বসবাস করতেন। মেয়ে পারভীন আক্তার ইপিজেডে চাকুরি করেন। পারভীন বাসায় তার মাকে রাখা নিয়ে স্বামী আজিমের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ঝগড়া হয়েছে।

সর্বশেষ রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্বাশুড়ির সঙ্গে আজিমের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে ওড়না দিয়ে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে আজিম। বিষয়টি পারভীনের মেয়ে সন্ধ্যায় ৬টায় দেখে তার মাকে ফোনে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ মঞ্জুরার লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

অভিযুক্ত আজিমকে বন্দর থানার পুলিশ সোমবার সকাল ১০টার দিকে সময় ডবলমুরিং থানাধীন সুপারিওয়ালা পাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা পাচারের মামলা আছে। এর আগে ২০১৮ সালে দুই হাজার ইয়াবা নিয়ে আজিম বায়েজিদ থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।