চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে মার্কশিট গায়েব, ঘটনা জানার ১৬ দিন পর জিডি!

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চট্টগ্রামের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কক্ষে সংরক্ষিত একটি ট্রাংক থেকে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার দুইটি নম্বর ফর্দ গায়েব হয়ে গিয়েছে। ঘটনা জানার ১৬ দিন পর থানায় জিডি করো শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
গত ১৯ মে সকাল ১০ টার দিকে ট্রাংকের তালা খোলা দেখতে পেয়েছিল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়ার ১৬ দিন পর ৪ জুন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দিদারুল আলম এ বিষয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন।

সাধারণ ডায়রীতে তিনি উল্লেখ করেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির নির্দেশে সাধারণ ডায়েরিটি করেছেন তিনি। এতে তিনি আরও উল্লেখ করেন—‘আমার অফিস কক্ষে ৩টি ট্রাংকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা-২০২৩ এর শিক্ষার্থীদের লক্ষাধিক নম্বরফর্দ রক্ষিত ছিল। গত ১৯/০৫/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ টার সময় আমি দেখি যে, ৩টি ট্রাংকের মধ্যে ১টি ট্রাংকের লাগানো তালা নাই। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক চেয়ারম্যান মহোদয়কে লিখিতভাবে অবহিত করি। পরবর্তীতে ০৩/০৬/২০২৪ তারিখ বিকাল অনুমান ০৩.০ ঘটিকার সময় ভাঙ্গা ট্রাংকটি তদন্ত কমিটির নির্দেশক্রমে শিক্ষাবোর্ডের ০২ জন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পর্যালোচনা করিয়া দেখি যে, উক্ত ট্রাংকে শিক্ষার্থীদের ২টি নম্বরফর্দ নাই। উক্ত বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য ডায়রীকৃক্ত করার আবেদন করিলাম।”

নথি গায়েব হওয়ার ১৬ দিন সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মন্তব্য করার কোন এখতিয়ার আমার নেই। যা বলার চেয়ারম্যান স্যার বলতে পারবেন।

বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিম বলেন, শুধু নম্বর ফর্দ নয় ওই দুই শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরপত্র ও গায়েব হয়ে গিয়েছে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কক্ষ থেকে। বিষয়টি আমাকে অবহিত করার সাথে সাথে আমি আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।
১৬ দিন পর জিডি করার বিষয়ে জানতে চাইলে বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, তিনি এতদিন পর এসে কেন জিডি করলে সেটা তিনি ভালো বলতে পারবেন।

প্রফেসর রেজাউল আরো বলেন, নম্বর ফর্দ ও স্বাক্ষর পত্রের মত অতি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংরক্ষণ করার দায়িত্ব যার এগুলো হারিয়ে গেলে দায়ও তার।

এক প্রশ্নের জবাবে বোর্ডে নবাগত চেয়ারম্যান বলেন, তিনি যদি কোন দূর্নীতির সাথে জড়িত হন তিনি তার শাস্তি পাবেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।