চট্টগ্রাম সিএমএম আদালতে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

ন্যায়বিচার নিশ্চিত ও মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে

চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (৮ জানুয়ারি) চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন—অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মনীষা মহাজন, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, মো. আলমগীর হোসেন, কাজী শরীফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মোস্তফা ও নুসরাত জাহান জিনিয়া।

এছাড়া বিশেষ পুলিশ সুপার (পিবিআই-মেট্রো) নাঈমা সুলতানা, উপ-পুলিশ কমিশিনার (প্রসিকিউশন) হুমায়ন কবির, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহাবুবুল হক, ফরেনসিক মেডিসিনের ডাক্তার খালেদ হাসান, টুরিস্ট পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার হাসান ইকবাল চৌধুরী, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) শ্রীমা চাকমা, অতি. উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক (দক্ষিণ) মো. রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিসি-দক্ষিণ) মো. মাহামুদুল হাসান মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) সাইকুল আহমেদ, অতি. পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মোঃ মফিজ উদ্দিন, অতি. পুলিশ কমিশনার কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।

কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এবং মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূইয়া।

কনফারেন্সের শুরুতে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান বিগত সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে বিচারাধীন মামলাসমূহের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার অফিসার ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট থানার অফিসার ইনচার্জদের পেন্ডিং প্রসেসসমূহ ১ মাসের মধ্যে জারী করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা প্রদান করেন। তদন্তকাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার প্রতি সচেতন হতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি দ্রুত ও দক্ষতার সাথে প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি মামলার সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিত করে তাদের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকর ভূমিকা পালনের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।

কনফারেন্সে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দের চাহিদার প্রেক্ষিতে পূর্বের চেয়ে দ্রুত গতিতে মেডিকেল সনদ প্রদানের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধি ডাক্তার জুনায়েদ আহমেদ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।

আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী আদালতের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেন। মহানগর পিপি এডভোকেট মো. মফিজুল হক ভূইয়া সাম্প্রতিক চুরি হয়ে যাওয়া মামলার সিডি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসেন তদন্তকার্যে আরো সচেতন হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহারিয়ার ডিএনএ রিপোর্ট সঠিক সময়ে পাওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মতামত ব্যক্ত করেন।

পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স নিয়মিত আয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে এমন কর্মশালার আয়োজনের মাধ্যমে দ্রুত ও মানসম্মত তদন্তকাজ সম্ভব মর্মে মতামত ব্যক্ত করেন।

চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সমাপনী বক্তব্যে মাধ্যমে কনফারেন্সের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।