চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় আদালতের সম্মেলন কক্ষে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন—বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মনীষা মহাজনসহ চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে কর্মরত বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।

কনফারেন্সের শুরুতে জুলাই বিপ্লবের শহিদদের স্মরণে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

তিনি বক্তব্যে মামলার তদন্ত ও বিচারকাজে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে ধরেন, সমাধান নিয়ে দিক-নির্দেশনা দেন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক বক্তব্যে বলেন, মেডিকেল সনদ সময় মতো না আসায় নিরপরাধ ব্যক্তিরা হয়রানির শিকার হন এবং ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়। তাই তিনি মেডিকেল সনদ সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনের জোরালো দাবী জানান।

চট্টগ্রামের বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলের, পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিচারকাজে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করে বিচারের পথ মসৃণ করা আমাদের মিশন।

তিনি প্রতিদিনের সমস্যা প্রতিদিনই সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে এ ক্ষেত্রে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার সম্মিলন ঘটানোর আহবান জানান। তিনি আদালতে সাক্ষী উপস্থাপনে পুলিশকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, মামলার তদন্তে ডিজিটাল সাক্ষ্য সংগ্রহের জন্য তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের তাগিদ দেন।

কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন—জেলা প্রশাসন, পিবিআই, সিআইডি, ডিবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, র‍্যাব, কারা প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও ফরেনসিক মেডিসিন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।