চট্টগ্রামের ঐহিত্যবাহী স্থাপনা চন্দনপুরা জামে মসজিদের ছবি নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে শেয়ার করে দেশবাসীকে জুমার শুভেচ্ছা জানালো আমেরিকান দূতাবাস।
শুক্রবার (৭ জুলাই) দুপুরে নিজেদের ফেসবুকে মার্কিন দূতাবাস কর্তৃপক্ষ লিখেছেন—
#JummaMubarak 🕌
Many thanks to Md. Siddique for sharing this beautiful photo of Chandanpura mosque situated in Nabab Siraj ud-Daulah road, in the old part of Chittagong. It is one of the famous landmarks in Chittagong and popular tourist attraction for its impressive architecture.
বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাস দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্থাপনা, তাদের বিভিন্ন কর্যক্রম ফেসবুক পেইজে প্রকাশ করে। চন্দনপুরা মসজিদের ছবিটি দূতাবাসের সঙ্গে শেয়ার করাজন ফটোগ্রাফার মো. সিদ্দিককে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখে—চট্টগ্রামের পুরাতন অংশে নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সড়কে অবস্থিত চন্দনপুরা মসজিদের এই সুন্দর ছবিটি শেয়ার করার জন্য মোঃ সিদ্দিককে অনেক ধন্যবাদ।
মসজিদের স্থাপত্যশৈলির প্রশংসা করে লিখে—এটি চট্টগ্রামের অন্যতম বিখ্যাত নিদর্শন এবং এর আকর্ষণীয় স্থাপত্যশৈলির জন্য জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণ।
প্রসঙ্গত, ১৬৬৬ সালে শায়েস্তা খার সেনাদল আরাকানের মগরাজাদের কাছ থেকে চট্টগ্রামকে স্বাধীন করেন। এরপর তাঁর নির্দেশে অসংখ্য মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে মসজিদ-ই-সিরাজ উদ-দৌলা (যেটিকে চন্দনপুরা জামে মসজিদ নামে অনেকেই চিনেন) অন্যতম। ১৯৪৬ সালে মাস্টার আব্দুল হামিদ নামে একজন ব্যক্তি মসজিদটি পুনঃনির্মাণ এবং সংস্কারকাজ শুরু করেন। ১৯৫০ সালে তার বড় ছেলে আবু সাইয়্যিদ দোভাষ মসজিদটির সংস্কারকাজ শেষ করেন।
মসজিদটিতে মোট ১৫টি গম্বুজ রয়েছে। সবচেয়ে বড় গম্বুজটি তৈরিতে তৎকালীন সময়ের প্রায় চার লাখ টাকার ১৫ মণ রুপা ও পিতলের প্রয়োজন হয়। ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে এগুলো সংগ্রহ করা হয়। গম্বুজের চারপাশে হযরত মুহাম্মদের (সা.) পরিবার ও দুনিয়ায় জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া ১০ সাহাবির নাম লেখা আছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।