চন্দনাইশের চেয়ারম্যান প্রার্থী ঋণখেলাপি জসীমকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

চন্দনাইশ উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ঋণখেলাপি জসীম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৬ মে) চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই নির্দেশ দেন।

চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, গত ৩০ এপ্রিল পদ্মা ব্যাংকের ৮৯ কোটি টাকা ঋণখেলাপির মামলায় জসীম উদ্দিন ও তার স্ত্রী তানজিনা সুলতানাকে আদালত ৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। প্রকাশ্যে চন্দনাইশ উপজেলায় প্রচারণা চালালেও পুলিশ জসীম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেনি।
এই প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহে ব্যাংকের পক্ষ থেকে আদালতে আবারও আবেদন করা হয়। রোববার (আজ) আবেদনের শুনানি শেষে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার ও চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জসীম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে পদ্মা ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে জেসিকা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার জসিম উদ্দিন ৬০ কোটি টাকা ঋণ নেন। নগরের লালদীঘি এলাকার ১৬ দশমিক ৫৯ শতক জমির ওপর নির্মিত সাততলা মহল মার্কেট ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের কাছে জামানত রেখেছেন। এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করার চুক্তি থাকলেও তা করেননি। ২০২২ সালে সম্পূর্ণ সুদ মওকুফ–সুবিধা নিয়ে ঋণ পুনঃতফসিল করেন।

ঋণ শোধ না করে বিলাসী জীবন যাপনে অভ্যস্থ জসীমের সেই ঋণ সুদাসলে প্রায় ৮৯ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২০ সালের ১৮ জুলাই ঋণ শোধ না করায় পদ্মা ব্যাংক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে। মামলায় গত ২৯ জানুয়ারি জসীমকে সুদসহ ঋণ পরিশোধের নির্দেশ দেন আদালত। তারপরও ঋণ শোধ না করায় তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।

কক্সবাজারের তারকা হোটেল রামাদার এমডি জসীম উদ্দিন ও তার স্ত্রী তানজিনা সুলতানার বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল পাঁচ মাসের দেওয়ানি কারাদণ্ড দেন আদালত। জসীম উদ্দিন কিন্তু প্রকাশ্যে সভা সমাবেশ করলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।