বিপদসীমার ওপরে থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। এতে কর্ণফুলী নদীতে সৃষ্ট তীব্র স্রোতে চন্দ্রঘোনায় বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। এমন পরিস্থিতিতে সাম্পান দিয়ে নদী পার হতে লেগেছে লাইন। ঝুঁকি-শঙ্কা নিয়ে নদী পার হচ্ছে শত শত যাত্রী।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলী নদীর ঘাটে গিয়ে সরজমিনে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। ব্যস্ততা ছিলো সাম্পান চালকদেরও। যদিও এই ব্যস্ততা তাদের। যাত্রীরা কিছুটা দুর্ভোগে থাকলেও অতিরিক্ত ব্যস্ততা খানিকটা আয় বাড়িয়েছে বলে জানান সামস্পান চালকরা।
নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীতে স্রোত এতটা বেড়েছে যে আমরা সাম্পান দিয়ে নদী পার হতে ভয় পাচ্ছি। অনেকটা বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা নদী পার হচ্ছি। এছাড়া ফেরি বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তাই সিরিয়াল দিয়ে আছি নদী পার হওয়ার জন্য।
স্থানীয় সাম্পান চালক মো. ইস্কান্দার, আব্দুল মালেক সহ কয়েকজন জানান, নদীর স্রোতে সাম্পান চালাতে ব্যাপক কষ্ট হচ্ছে। নদী পার হতে আগে ২-৩ মিনিট লাগলেও বর্তমানে ৭ থেকে ১০ মিনিট লাগছে। তবে ফেরি বন্ধ থাকায় যেহেতু শুধুমাত্র সাম্পান চলছে তাই আমাদের আয় রোজগার বেড়েছে। আশা করছি, কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়ার গতি কমানো হলে আবারো নদীর স্রোত স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়ায় কর্ণফুলী নদীর স্রোত বৃদ্ধি পাওয়াতে চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে ফেরির ব্যালেন্স রেখে চালানো সম্ভব হচ্ছেনা। তাই ঝুঁকি মোকাবেলায় ফেরি বন্ধ। তবে নদীতে পানির স্রোত কমলে আবারও চালু হবে ফেরি চলাচল।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।