চবিতে চলছে আবৃত্তি মঞ্চের ১০ম আবৃত্তি উৎসব

‘নির্বাসিত কবিতার জয় হোক’ প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) চলছে আবৃত্তি মঞ্চের দু’দিন ব্যাপী ১০ম আবৃত্তি উৎসব। ১২ মার্চ (রবিবার) সকাল সাড়ে দশটায় আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে পর্দা উঠে আবৃত্তি উৎসবের। আবৃত্তি উৎসবের প্রথম দিন ‘চবি’ আবৃত্তি মঞ্চ সম্মাননা ২০২৩’ গ্রহণ করেন প্রখ্যাত অভিনেতা ও আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।

প্রথমদিনের আলোচনা সভা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মধ্যে আবৃত্তি একটি অন্যতম শিল্প। শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ, সুন্দর উপস্থাপনা এবং শ্রুতিমধুর বাচনভঙ্গি আয়ত্ব করার জন্য আবৃত্তি চর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া চর্চা অপরিহার্য।

আবৃত্তি মঞ্চ উপদেষ্টা ও দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাছুম আহমেদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী।

বৃন্দ পরিবেশনা ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’র মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎবের আবৃত্তি পর্ব৷ এ পর্বে আবৃত্তি পরিবেশন করেন মাসকুর এ সাত্তার কল্লোল, ফারুক তাহের, প্রণব চৌধুরী, মুজাহিদুল ইসলাম ও শুভাশিস শুভ। এছাড়াও পরিবেশিত হয় দ্বৈত প্রযোজনা ভালোবাসার উপাখ্যান ও বৃন্দ পরিবেশনা মহুয়ার পালা।

সম্মাননা প্রাপ্ত অভিনেতা ও শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা নিয়ে একদমই হীনমন্যতায় থাকা যাবে না। কিছু কিছু ভাষাবিদ আমাদের মধ্যে কথ্যভাষা বা আঞ্চলিক ভাষায় কথা নিয়ে মারাত্মক লজ্জিত হওয়ার সংস্কৃতির প্রচলন করেছেন, যেটি ঠিক না। এছাড়া তিনি চবি আবৃত্তি মঞ্চসহ চট্টগ্রামে অন্যান্য যেসব প্রমিত ভাষা চর্চার সংগঠন আছে সেগুলোর কর্মকাণ্ডের প্রসংশা করেন৷

প্রসঙ্গত, আজ ১৩ মার্চ দ্বিতীয় দিনের উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুই দিনব্যাপী আবৃত্তি উৎসব।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।