চবিতে চলবে ২৩টি সিএনজি, কাগজপত্র থাকবে প্রক্টর অফিসেও

শিক্ষার্থী-স্থানীয় দ্বন্দ্ব নিরসনে ৭ দফা সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে চবির শিক্ষার্থীরা সিএনজি চালক ও স্থানীয়দের হাতে মার খাওয়ার পর আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা বৈঠক করেছেন।

রোববার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হাটহাজারী থানা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সিএনজি মালিক-চালকদের নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১. সবার সসম্মতিক্রমে অনুমোদন প্রাপ্ত মোট ২৩টি সিএনজি ব্যতিত অন্য কোনো সিএনজি এক নাম্বার গেইট টু জিরো পয়েন্ট রোডে চলাচল করতে পারবে না।

২. প্রত্যেকটি গাড়িতে CU লিখা সম্বলিত স্টিকার লাগানো থাকবে।

৩. সিএনজি চালকদের আলাদা ড্রেস কোড থাকবে।

৪. চালকদের ড্রাইভিং লাইন্সেস এবং জাতীয় পরিচয় পত্র প্রক্টর অফিসে থাকবে।

৫. সিএনজি মালিকের গাড়ির কাগজ পত্র প্রক্টর অফিসে জমা থাকবে।

৬. ছাত্র এবং ড্রাইভার উভয়ের মধ্যে ভালো ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

৭. রাত ১১টার পর জনপ্রতি ভাড়া ১০ টাকা করে দিতে হবে।

বৈঠক শেষে বিষয়গুলো চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা আজকে ২৩টি গাড়ির কাগজ পত্র জমা করেছি। ওই ২৩টি গাড়ি ব্যতিত অন্য কোনো গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোডে চলাচল করবে না। এছাড়াও সিএনজি চালকদের প্রতি বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। তারা নির্দেশনা না মানলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।